এবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের হাতের আংটিকাণ্ড নিয়ে নয়া মোড়। কীভাবে এতদিনে তাঁর হাতের আংটি খুলল তা নিয়ে আদালতের রিপোর্ট পাঠিয়েছে কারা দফতর। এমনটাই সূত্রের খবর। তবে তার আগে জেনে নেওয়া যাক এই আংটি 🍌কাহিনির নেপথ্য়ের বিষয়টি। কেন তার হাতের আংটি খোলা যাচ্ছিল না?
সূত্রের খবর, জেলের ভেতর 🧔সাধারণত গয়নাগাটি পরে থাকা যায় না। কিন্তু প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় জেলের মধ্যে দিব্যি আংটি পরে ঘুরছিলেন বলে খবর। একটি নয় একেবারে তিনটি সোনার আংটি ছিল তাঁর হাতে। কিন্তু বন্দিদের তো গয়নাগাটি পরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেক্ষেত্রে কীভাবে পার্থর হাতে আংটি থেকে গেল? তবে কি প্রভাবশালী বলেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় আংটি পরেও দিব্🐭য়ি জেলে ঘুরে বেড়ানোর ছাড়পত্র পেয়ে গেলেন?
গত ১৯ এপ্রিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের শুনানির সময় ওই আংটির প্রসঙ্গ উত্থ⭕াপন করেন আইনজীবীরী। একটা নয় তিন তিনটি সোনার আংটি। ভার্চুয়াল মাধ্যমে পার্থ জানিয়ে দেন ধর্মীয় কারণে তিনি আংটি পরে রয়েছেন। পরে বিচারকের প্রশ্নের মুখে তিনি আংটি খুলেও ফেলেন।
কিন্তু এর𒈔পরই প্রশ্ন ওঠে এতদিন ধরে পার্থ আংটি পরে থাকলেন। অথচ জেল কর্তৃপক্ষের নজরই পড়ল না? এনিয়ে ফের ওঠে সেই প্রভাবশালী তত্ত্ব। এদিকে ডেকে পাঠানো হয়েছ꧙িল প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের জেল সুপারকে। কিন্তু তিনিও আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়েন। তিনি ব্যাখা দিতে চেয়েছিলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে আংটি খোলা যাচ্ছিল না। কি্ন্তু তখনই প্রশ্ন ওঠে বিচারকের প্রশ্নের মুখে কীভাবে আংটি খোলা সম্ভব হল?
এদিকে সেই আংটি খোলা নিয়ে এ♐বার আদালতের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে কারাদফতরের তরফে। সেখানে একেবারে দিন উল্লেখ করে জানানো হয়েছে আংটি খোলার জন্য চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু আংটি খোলার সময়তেই তিনি চিৎকার করছিলেন। তবে তিনি যখন জেলে গিয়েছিলেন তখন তার ওজন ছিল ১১০ কেজি। পরে কারাবাসে তার ওজন প্রায় ১০ কেজি কমে যায়। এতে আঙুলগুলি আর আগের মতো ফোলা নেই। সেকারণে তিনি আংটি খুলতে পেরেছেন। তবে আংটি খোলার সময়ই চামড়া ছড়ে যায়। তবে তখনও রীতিমতো টানাটানি করেই আংটি খোলা হয়েছে। তবে জেলের আধিকারিক, মেডিক্যাল অফিসার সহ সকলের সঙ্গে কথা বলেই এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে বলে খবর।