কালক্রমে সমস্ত জনপ্রতিনিধি তৃণমূলে যোগদান করবেন। এমনই পূর্বাভাস ছিলেন তৃণমূলের জেলবন্দি প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় আলিপুর আদালতে পেশের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন তিনি। তবে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের তোলা অভিযোগের কোনও জবাব দেননি তিন🉐ি।
মঙ্গবার সকাল ১১টা নাগাদ নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় পার্থসহ ৭ জনকে আদালতে পেশ করা🅘 হয়। আদালতে প্রবেশের সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, বাইরন বিশ্বাস তৃণমূলে যোগদান করেছেন, কী বলবেন? প্রথমে কোনও জবাব দেননি পার্থ। ভবনে ঢোকার সিঁড়ি পেরিয়ে করিডরে পা রেখে পুলিশি ঘেরাটোপ থেকে চিৎকার করে তিনি বলেন, ‘সবাই তৃণমূলে চলে আসবে’।
বলে রাখি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মোটেই স্বস্তিতে নেই পার্থ। সাক্ষপ্রমাণ তো বটেই, অধুনা ঘনিষ্ঠরাও আর তাঁর পাশে নেই। গত রবিবার তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা উচিত। তার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে তাঁর ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় আদালতে জামিনের আবেদন করে বলেন, নিয়োগ দুর্নীতির মাস্⭕টারমাইন্ড পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আমার বাড়ি থেকে যে টাকা উদ্ধার হয়েছে তা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। ওই টাকার ওপর কোনও নিয়ন্ত্রণ আমার ছিল না। এদিন যদিও অর্পিতার অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের কোনও জবাব দেননি পার্থ। এমনকী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে করা প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূলের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, উনি আমাদের দলে নেই। ফলে দলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া সম্ভব নয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দল তাঁর পাশে না থাকলেও কিছুটা আবেগ আর কিছুটা বা💧স্তবতার চাপে আপাতত তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক꧂িছু বলা মুশকিল পার্থর পক্ষে।