তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের পাঠানো সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের চিঠি নিয়ে সাড়া মিলল প্রধানমন্ত্রীর𒊎 দফতর থেকে। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে🍌, ওই চিঠির ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রককে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, সুদীপ্ত সেন তাঁর চিঠিতে মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী সহ বেশ কয়েকজন নেতার নাম উল্লেখ করেছিলেন, যারা তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন।
সারদা কর্তার লেখা সেই চিঠির ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কাছে তদন্ত দাবি করে চিঠি লিখেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য স🀅ম্পাদক কুণাল ঘোষ। কিন্তু সেই চিঠির এতদিন কোনও সাড়া আসেনি। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে সাড়া নিলেছে। এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন আদালতকে একটি লিখিত চিঠি দিয়েছেন। তাতে ২০১৩ সালে তাঁর ওপর কী চাপ ছিল, তাঁকে দিয়ে আগের বয়ানগুলি কীভাবে দেওয়ানো হয়েছিল ও প্রকৃতভাবে এই সারদা কাণ্ডে কে কে জড়িত, সেই সমস্ত কিছু বলা হয়েছে। সিবিআই এক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। যাদের নাম সেখানে বলা হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।’
প্রসঙ্গত, গত ১ ডিসেম্বর সুদীপ্ত সেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লেখেন। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, সারদা চিটফান্ড চালানোর জন্য কাকে কত টাকা দিতে হয়েছে। সেখানে তিনি লিখেছেন, তত্কালীন ত⭕ৃণমূল নেতা তথা বর্তমানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তিনি ৬ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। বিধানসভায় তত্কালীন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীকেও ৯ কোটি টাকা দেন বলে চিঠিতে দাবি করেন সুদীপ্ত। পাশাপাশি তাঁর দাবি ছিল, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকে ২ কোটি টাকা দিয়েছেন তিনি।🌜 সুদীপ্ত সেনের অভিযোগের তালিকায় ছিলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীও। অধীর চৌধুরী নাকি তাঁর থেকে ৬ কোটি টাকা নিয়েছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন সুদীপ্ত। তৃণমূলের তত্কালীন সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মুকুল রায়কে কত টাকা দিয়েছেন তা মনে করতে না পারলেও, মোটা অঙ্কের টাকা যে তাঁকে দিয়েছেন তা চিঠিতে উল্লেখ করেন সুদীপ্ত সেন।