নিউ মার্কেটে এক দৃষ্টিহীন ফুটপাতবাসীর দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে শোরগোল💖 পড়ে গিয়েছিল। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা ছিল ওই ফুটপাতবাসীকে খুন করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে ধোঁয়াশা কাটল। রিপোর্ট অনুযায়ী, হৃদযন্ত্র বিকল হয়েই ওই দৃষ্টিহীন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত ঘটনায় কোনও অভিযোগ পায়নি পুলিশ। তবে প্রাথমিকভাবে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে নিউ মার্কেট থানার পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ ভবানীপুরের ব্যবসཧায়ীকে ঠান্ডা মাথাতেই খুন, ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছিল ধৃত অনির্বাণ
জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক🅠্তির নাম শেখ মুন্না (৫০)। রফি আহমেদ কিদোয়াই রোডের একটি হোটেলের কাছে ফুটপাতে তিনি থাকতেন। তাঁর সঙ্গে থাকতেন তার মা। তিনিও দৃষ্টি𒐪হীন। ভিক্ষা করে যা আয় হয়তো তাতেই দিন চলতে দুজনের। শনিবার দুপুরে মুন্নার মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। হোটেলের সামনে দেহ পড়ে থাকায় কর্মীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়ায়। পরে খবর পেয়ে মুন্নার দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বেশ কয়েক বছর ধরেই হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন মুন্না। তবে অত্যন্ত দরিদ্র হওয়ায় তিনি সেভাবে চিকিৎসা করাতে পারেননি। ঘটনার দিন ওই ফুটপাতের বাসিন্দা আরও ৩ জনের সঙ্গে মুনꦏ্নার ঝামেলা হয়েছিল। তার জেরে ওই ৩ জন মুন্নাকে ধাক্কাধাক্কি করে। এরফলে একসময় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মুন্না। এরপর তিনি আর𒁏 উঠতে পারেননি।
এদিকে, মুন্নার মা নুরজাহান ছেলেকে খুন করার অভিযোগ তুললেও থানায় সেই অর্থে লিখিতভাবে কোনও অভিযোগ জানꦰাননি। তবে পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে আটক করে। তাদের থানায় গিয়ে জিজ্ঞা🧔সাবাদ করে পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মুন্নার মৃত্যু হয়েছে।
এই ঘটনার পরেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ। এক্ষেত্রে তদন্তে আরও তথ্য জানা গেল প্রয়োজনীয় ধারা যুক্𝕴ত করতে পারে পুলিশ। কারও গাফিলতি থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরেই এ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। ঘটন🤪ায় অভিযোগ জানানো হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।