আজ, কালীপুজো। এই দিনটিতে শুধু জবা ফুল এবং জবার মালার চাহিদা থাඣকে তুঙ্গে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এই সুযোগে দাম বেড়েছে চড়চড়িয়ে। হাওড়ার মল্লিকঘাট ফুলমার্কেট থেকে শুরু করে গড়িয়াহাট–মানিকতলা বাজার সব জায়গায় ক্রেতাদের চাহিদা বিপুল। এই চাহিদা মেটানোর সুযোগ নিয়ে তরতরিয়ে দাম চড়ছে জবা ফুল ও মালার। এবারই সেঞ্চুরি পার করেছে ১০৮ জ🔥বার মালা। তবে দামের নিরিখে জবা ফুল মালাকে সমানে টক্কর দিচ্ছে পদ্ম, অপরাজিতা। আর তা কিনতে গিয়ে জোর ছ্যাঁকা খাচ্ছে আমজনতা।
কিন্তু বারোয়ারি কালীপুজোতে তো কিনতেই হবে। তাই বিক্রিও হচ্ছে বিপুল দামে। এই বিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানান, নিম্নচাপের বর্ষণে রাজ্যের ফুলচাষের খুব ক্ষতি হয়েছিল। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলা ক্ষতির মুখে পড়েছিল। তার 🥀জেরে দুর্গাপুজো এবং লক্ষীপুজোয় পদ্ম, রজনী–সহ সব ফুলের দাম ছিল আকাশছোঁয়া। আর এবার বাড়ল জবা ফুল–মালার দাম। জেলা থেকে কলকাতা পাইকারী ফুলবাজারে জবা ফুল–মালার দাম বেশ চড়া। রজনীগন্ধা ৪০০ টাকা প্রতি কেজি, দোপাটি ১০০ টাকা, অপরাজিতা ৩০০ টাকা, লাল গাঁদা ৭৫ টাকা, হলুদ গাঁদা ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর পদ্ম ৪০ টাকা, গোলাপ ৩ টাকা প্রতি পিস, লাল গাঁদার ছোট মালা ১৫ টাকা, হলুদ গাঁদার মালা ২০ টাকা প্রতি পিস দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরো বাজারে সেই দাম আজ দ্বিগুণ হয়েছে।
আর জবা ফুল–মালার দাম কত? এদিকে জবা ৮০ টাকা/প্রতি শ’দরে পাইকারী বাজারে বিকোচ্ছে। কোথাও আবার ৯০ টাকা। ১০৮ জবা ফুলের মালা খুচরো বাজারে দাম সেঞ্চুরি পার করেছে। আজ কালীপুজোর দিন নানা বাজারে নানা দাম নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এই বিষয়ে সারা বাংলা ফুলচাষি ও ফুলব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র নায়ক বলেন, ‘দেড় মাস আগে চলা নাগাড়ে বৃষ্টিতে ফুলের চাষ খুব ক্ষতির মুখে পড়েছিল। তার জেরে দুর্গাপুজো ও লক্ষীপুজোয় ফুলের দাম ছিল অত্যন্ত চড়া। কালীপুজোতে তাই দাম তো উঠবেই। বিশেষ করে জবা ফুল ও মালার। রাজ্যে আজ এক কোটি꧂ জবার চাহিদা রয়েছে। আর কালীপুজোয় সেই চাহিদা মেটাতে একসপ্তাহ আগে থেকে ফুল তুলে হিমঘরে মজুত করেছেন ফুলচাষিরা।’
আরও পড়ুন: ‘তোমার ওไ জনৈক মহিলার রঙ্গলীলার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আনা হবে’, বিস্ফোরক অনুপম
আর কী জানা যাচ্ছে? অন্যদিকে এখন ফুল কিনে তার♑ সঙ্গে দু’একটা জবা ফুল চাইলে শুনতে হচ্ছে, হবে না দাদা। কয়েকজন ফুলচাষি জানান, আগে থেকে ফুল কিনে রাখতে পারলে লাভ অনেক বেশি। আবার একদিনে এত জবা ফুল–মালার জোগান দেওয়াও সম্ভব হবে। নানা জেলা থেকে ফুল আসে হাওড়ার ফুলবাজারে। সেখান থেকেই তারপর রাজ্যের নানা প্রান্তে চলে যায় ফুল। দুর্গাপুজোর সময় থেকেই দাম বাড়তে থাকে। সেটা সব ফুলের ক্ষেত্রে দাম বৃদ্ধি হয়। এবারও তা হয়েছে। তবে জবার মালা সেঞ্চুরি ছাড়াবে অনেকে আশা করেননি। কিন্তু পরিস্থিতি যা তৈরি হয়েছে তাতেই বেড়েছে জবা ফুল, মালার দাম।