সম্প্রতি রবীন্দ্র সরোবরের জলে মার মাছ ভেসে উঠতে দেখা গিয়েছিল। তখন একাধিক মরা মাছ ভেসে ওঠায় জলে দূষণ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। আবার এই দূষণের জেরেই জলে স্বাভাবিক অক্সিজেন কমে যাচ্ছে বলে ওঠে অভিযোগ। কিন্ত✤ু এই অভিযোগগুলি আসলে সত্য নয় বলেই এখন জানা যাচ্🌄ছে। তাহলে জলে মরা মাছে ভেসে উঠল কেন? উঠছে প্রশ্ন। নির্দিষ্ট কোনও রোগ ছড়িয়ে পড়ছে বলেই জলাশয়ের মাছেদের মৃত্যু হয়েছে। এই তথ্য উঠে আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রবীন্দ্র সরোবরে। কারণ এখানে সকালে মানুষজন প্রাতঃভ্রমণ করেন। খেলাধূলার ক্লাব আছে। আর সংলগ্ন রয়েছে লেক গার্ডেন্স স্টেশন। তাই কোথা থেকে ছড়াচ্ছে রোগ? এই প্রশ্নে এখন তোলপাড় দক্ষিণ কলকাতার ফুসফুস।
লেকের জলে একটা কোনও রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। সেটা ঠিক কী রোগ? তা এখনও জানা যায়নি। এই রোগ যাচাই করতে সময় লাগবে বলে রবীন্দ্র সরোবরের জলাশয় পরীক্ষা শেষে প্রাথমিক রিপোর্টে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। কেএমডিএ সূত্রে এমন খবর প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকী রোগের উৎস পর্যন্ত এখনও জানা যায়নি। তবে এই পরীক্ষা চলবে বলে খবর। তবে রবীন্দ্র সরোবরের জলাশয়ে জলজ প্রাণীরা যাতে সুস্থভাবে থাকতে পা🥀রে তার জন্য বেশ কিছু সুপারিশও তাঁরা করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
কেমন সুপারিশ করা হয়েছে? কেএমডিএ সূত্রে খবর, ওই সুপারিশগুলির মধ্যে রয়েছে গাছের পাতা নিয়মিত সাফাই করা এবং আশপাশে থাকা ক্লাবগুলির বর্জ্য যাতে রবীন্দ্র সরোবরের জলে এসে না পড়ে সেদিকে কড়া দৃষ্টি রাখা। আর প্লাস্টিক কোনওভাবেই এই জলাশয়ে যেন না পড়ে তাও দেখতে হবে। এইসব থেকে মূলত রোগ ছড়াতে পারে বলে তাঁরা মনে করছেন। প্রত্যেক মাসে অক্সিজেনের মাত্রা মাপতে ব♋লা হয়েছে। নজরদারি আরও বাড়াতে বলা হয়েছে। মাছের মড়কের কারণ জানতেই বিশেষজ্ঞরা রবীন্দ্র সরোবরে আসেন। তারপর সরোবরের জল সংগ্রহ করে সেটা পাঠানো হয় পরীক্ষাগারে। এখন চলছে পরীক্ষা।
আরও পড়ুন: উপভোক্তার সংখ্যা ছাড়াচ্ছে ২ কোটির গণ্ডি, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে মিলল তথ꧃্য
আর কী জানা যাচ্ছে? তবে রবীন্দ্র সরোবরে গিয়ে দেখা গেল নজরদারি বলতে কয়েকটি গেটে চেয়ার পেতে বসে আছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁরা কারও হাতে প্লাস্টিক দেখতে পেলে আটকান। কিন্তু উঠে গিয়ে কোনও নজরদারি করেন না। তাই এখন রবীন্দ্র সরোবরে নিশ্চিন্ত মহিলা ধূমপায়ীর আড্ডা বেড়েছে। আর তাঁদেরকে বলার কেউ নেই। তাই গাছের আড়ালে আবডালে এবং বেঙ্গল রোয়িং ক্লাবের দিকে থাকা সরোবরের অন্দরে মহিলা ধূমপায়ীদের দিনের বেলাতেই ভাল মতো দেখা যায়। কলেজের মেয়েরা পর্যন্ত এখানে এসে দেদার ধোঁয়া ওড়াচ্ছে꧅ন। তবে এই মাছের মড়কের বিষয়ে কেএমডিএ’র এক অফিসার বলেন,‘মাছের মৃত্যুর জন্য দূষণ দায়ী নয় বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। জলজ প্রাণীদের স্বার্থে নিয়মিত আমরা বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে থাকি। এখন যে সুপারিশ তাঁরা করেছেন তা বাস্তবায়িত করা হবে।’