লোকসভার স্পিকার নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে স্পিকার নির্বাচন ইস্যুতে তৃণমূলের মান ভাঙাতে সরাসরি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করলেন রাহুল গান্ধী। প্রসঙ্গত, আজকের স্পিকার নির্বাচনে বিজেপির ওম বিড়লার বিরুদ্ধে ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী হচ্ছেন কংগ্রেসের কে সুরেশ। এদিকে ভোটের অঙ্কে ওম বিড়লা অনেকটাই এগিয়ে। বিরোধীদের মোট সাংসদ সংখ্যা ২৩২। তাঁদের মধ্যে পাঁচনজন এখনও শপথ নেননি। এই আবহে তাঁরা ভোটও দিতে পারবেন না। আর এদিকে এনডিএ-র কাছে ২৯০-এর ওপরে সাংসদ আছে। তবে শুধু ভোটের অঙ্ক নয়, এই স্পিকার নির্বাচনে বিরোধী ঐক্য প্রদর্শনই হবে বিরোধীদের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য। এই আবহে স্পিকার নির্বাচনের আগে তৃণমূলের ক্ষোভ মেটাতে নাকি ফোনে ২০ মিনিট ধরে মমতার সঙ্গে কথা বলেন রাহুল গান্ধী। (আরও পড়ুন: TMC-র𝓰 হাত ধরে শুরু পথচলা, পরপর ৬টি হারের পর অবশেষে নিজের রাজনীতি ছাড়ছেন ভাইচুং)
আরও পড়ুন: NDA-র কাছে হেরেও স্পিকার নির্বাচনে BJP-র ওম বিড়লাকে 💮সমর্থনের সিদ্ধান্ত এই দলের!
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা নিয়ে 💝সামনে এল নয়া আপডেট, চিঠিতে করা হল বড় দাবি
জানা গিয়েছে, শাসকগোষ্ঠীর লোকসভার স্পিকার প্রার্থীকে সমর্থনের প্রস্তাব দিয়েছিল কংগ্রেস। তবে তাঁদের শর্ত ছিল, 'প্রথা' মেনে ডেপুটি স্পিকারের পদ বিরোধীদের ছেড়ে দিতে হবে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকে মোদী ২.০ জমানায় 🔜লোকসভায় কোনও ডেপুটি স্পিকার নিযুক্তই হননি। আর এবারও যে কাউকে ডেপুটি স্পিকার করা হবে, বা করা হলে যে সেই পদ বিরোধীদের ছাড়া হবে এমন কোনও ইঙ্গিত দেয়নি বিজেপি। বরং বিজেপি ইতিহাস ঘেঁটে মনে করিয়েছে, নেহেরু এবং ইন্দিরা গান্ধীর জমানায় স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার পদে শাসকদলের সাংসদরাই ছিলেন একসঙ্গে। এই আবহে কংগ্রেসের তরফ থেকে কে সুরেশকে স্পিকার পদপ্রার্থী হিসেবে প্রার্থী করা হয়। আর তাই আজ লোকসভায় স্পিকার পদের জন্যে নির্বাচন হতে চলেছে।
এই সবের মাঝে সোমবার সংসদে ঢোকার সময় অভিষেক বন▨্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'লোকসভায় স্পিকার পদে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের একার।' তখনই স্পষ্ট হয়ে যায়, এই নিয়ে তৃণমূলের মনে অভিমানের মেঘ জমেছে। এই আবহে মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন রাহুল গান্ধী। প্রায় ২০ মিনিট ধরে কথা হয় দু'জনের। সেই সময় স্পিকার ইস্যুতে মমতাকে কংগ্রেসের অবস্থান বোঝানোর চেষ্টা করেন রাহুল গান্ধী। এরপর মঙ্গলবার রাতে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের বাড়িতে বৈঠকে বসে ইন্ডিয়া জোট। বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে উপস্থিত ছিলেন ডেরেক ওব্রায়েন ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে নাকি তৃণমূল নেতারা বিরোধী দলগুলির মধ্যে সমন্বয়ের অভাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।