কাজের চাপ সামলাতে না পেরে আত্মঘাতী হলেন এক রেলকর্মী। সহকর্মীদের এমনই দাবিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজন🐎া ছড়াল। মৃত কর্মীর দেহ নিয়ে বিক্ষোভ করলেন রেলের অন্যান্য কর্মীরা। মৃত কর্মীর নাম গণেশ নস্কর। তিনি লাইটিং বিভাগের সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার। তার সহকর্মীরা𒁏 কাজের চাপ দেওয়ার জন্য হাওড়া ডিভিশনের সিনিয়র ডিভিশনাল ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (জেনারেল) বিকাশ আনন্দকে দায়ী করেছেন। অবিলম্বে তাঁকে বদলি করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন রেলকর্মীরা।
শনিবার পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনে লিলুয়া কোচিং কমপ্লেক্সের কাছে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় ওই রেলকর্মীর। তার সহকর্মীদের দাবি, তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। যদিও রেল কর্মীদের এই দাবি এখনই মেনে নিতে চাইছে না পূর্ব রেল। মুখ্য জনসংযোগ আধিকা꧒রিক একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘রেলের এক কর্মী মারা গিয়েছেন। সেটি আত্মহত্যা দুর্ঘটনা তা ময়না তদন্তের পরে জানা যাবে। মৃত রেলকর্মীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।’ পাশাপাশি রেলকর্মীরা যে অভিযোগ তুলেছেন তাও খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
সহকর্মীরা জানিয়েছেন, এদিন ইয়ার্ডে মুম্বাই মেইল ঢোকার সময় আত্মঘাতী হয়েছেন গণেশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাজ বন্ধ রেখে মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেন সহকর্মীরা। তাদের বক্তব্য, অবিলম্বে বদলি করে দিতে হবে বিকাশ আনন্দকে। রেল কর্মীদের এই অভিযোগ অস্বীকার করে পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ জানান, ‘অত্যাধিক কাজের 💧চাপের কারণে এর আগেও একজন কর্মী আত্মঘাতী করেছেন। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কাদের জন্য চাপ দেয়া হচ্ছিল তাদের। সেই কারণেই মানসিক অবসাদে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। রেল কর্মীরা বিক্ষোভ করলে সেখানে আরপিএফ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।