আজ মহাপঞ্চমী। দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে সেজে উঠেছে কলকাত🌜া থেকে জেলা। আর তার মধ্যেই বড় খবর হয়ে গেল। ইডি মামলায় আগেই জামিন পান তিনি। কিন্তু সিবিআইয়ের মামলা মাথার উপর ছিল। তাই জেলমুক্তি হয়নি। এবার জামিন পেলেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল। তবে এবার ঠিক দুর্গাপুজো শুরু হওয়ার গোড়ায় স্বস্তি পেলেন মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করল আদালত। সুতরাং ইডি–সিবিআই দুই মামলাতেই জামিন পাওয়া তাপস মণ্ডলের দ্রুত জেলমুক্তি ঘটতে চলেছে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে কয়েকদিন আগেই জামিনে ছাড়া পেয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্🅘তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য। তিনি আবার তৃণমূল কংগ্রেসের পলাশীপাড়ার বিধায়ক। এবার সেই একই মামলাতে আরও এক অভিযুক্তের জামিন মিলল। ৫৯৫ দিন জেলে বন্দি থাকার পর জামিন পেলেন অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল। প্রাথমিক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে তাপস মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সিবিআইয়🍌ের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। তাপস মণ্ডল নিজের সংস্থাকে ব্যবহার করে মানিক ভট্টাচার্য–সহ বাকি অভিযুক্তদের নির্দেশে চাকরি দেওয়ার জন্য টাকা তুলেছিলেন বলে অভিযোগ। এমনকী তাপস মণ্ডল নিজের পরিবারের বেশ কয়েকজনকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: কল্যাণী এইমসের পরিকাঠামো দিল্লির মতো করতে হবে, সময়সীমা বেঁধে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
অন্যদিকে আজ, মঙ্গলবার জামিন পেলেন তাপস মণ্ডল। তবে একই মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অয়ন শীলের জামিন এখনও দেয়নি আদালত। তাপস মণ্ডলকে যখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তখন অনেক উত্তর চেপে যাচ্ছিলেন তিনি বলে অভিযোগ তদন্তকারীদের। সেপ্টেম্বর মাসে জামিন পেয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। তার আগে সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন প্রসন্ন রায়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান জেলবন্দি মানিক ভট্টাচার্যর স্ত্রী শতরূপা এবং ছেলে সৌভিক। এবার সেই তালিকায় ঢুকে গিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন তাপস মণ্ডল।
অফলাইনে ভর্তির যে তালিকা তাপস মণ্ডল জমা দিয়েছেন, সেই তালিকার সঙ্গে বাজেয়াপ্ত হওয়া টাকার হিসেব–সহ একাধিক নথি নিয়ে বারবার সিবি𓂃আই দফতরে যেতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে⛎র সময় নানা তথ্য চেপে যাওয়ার দরুণ তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাও কিছুদিন আগে জামিন পেয়েছেন। আজ, মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে তাপস মণ্ডলের আইনজীবী আদালতে যুক্তি দেন, ৫৯৫ দিন তাঁর মক্কেল জেলে রয়েছেন। অথচ বিচারপ্রক্রিয়া শুরুই হয়নি। তার প্রেক্ষিতেই আদালত তাপস মণ্ডলকে জামিন দিল। তাঁর সঙ্গে এস বসু রায় কোম্পানির আধিকারিক কৌশিক মাজিও জামিন পান।