আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। এই ঘটনা যেখানে ঘটেছিল সেই চেস্ট মেডিসিন ওয়ার্ডের নামকরণ করতে হবে ‘অভয়া ওয়ার্ড’। এই ঘটনার ১০০ দিনের মাথায় ইমেল করে শনিবার এমনই আর্জি মুখ্যসচিবের কাছে তুলে ধরেছে জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন। এমনকী হাসপাতালের অধ্যক্ষের কাছেও এই দাবি জানিয়েছে তারা। জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আরও আট দফা দাবি নবান🌱্নের কাছে রাখা হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো, ২৬ জানুয়ারির আগেই অভিযুক্তদের শাস্তি দিতে হবে। আরজি কর হাসপাতালে সামনের বাঁধানো চত্বরে কমলা এবং হলুদ গাঁদা ফুল দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘অবিচারের একশো দিন, আর কত দিন বিচারহীন?’
এদিকে গত ৯ অগস্ট তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের ১০০ দিন পূর্ণ হল শনিবার। কেন এতদিন পরেও ন্যায়বিচার মিলছে না? প্রশ্ন তুলে নানা কর্মসূচির সামনে রাখলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে এখন দুটি সংগঠনের মধ্যে লড়াই তুঙ্গে উঠেছে। ১৭ নভেম্বর জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের পক্ষ থেকে শ্যামবাজারে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁরাও বিচারের দাবি তুলেছেন। কিন্তু জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে শ্রীশ চক্রবর্তী বলেন, ‘যেভাবে জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট অভয়ার নাম করে কোটি কোটি টܫাকা তুলেছে সেটার অডিট করতে হবে। অভয়ার নাম করে তোলা ওই বিপুল অর্থ তুলে দিতে হবে মৃত চিকিৎসকের মা–বাবার🐻 হাতে।’
আরও পড়ুন: ‘মণিপুরে শান্তি ফেরানোর উদ্যোগ নিন’, প্রধানমন্ত্রীকে আর্জি জানালেন বিরোধী দলনেতা
অন্যদিকে আজ, রবিবার রাতে শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে সমাবেশের ডাক দিয়েছে জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট। তাই আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎ🌜সকেরা সকাল থেকে বুকে লাগালেন কালো ব্যাজ। পক্ষান্তরে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে যতগুলি কমিটি তৈরি হয়েছে তার প্রত্যেকটিতে ওয়েস্টবেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি রাখার দাবি তোলা হয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সংহতির পক্ষ থেকে শনিবার এক কনভেনশনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে আবার আন্দোলনরত জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের পক্ষ থেকে নির্যাতিতার প্রতীকী মূর্তির সামনে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা চলে। প্ল্যাটিনাম জুবিলি ভবনের কাছে আবক্ষ প্রতীকী মূর্তির সামনে শ্রদ্ধা জানিয়ে চলে কবিতা পাঠ থেকে গান। তারপর মোমবাতি মিছিল করে জরুরি বিভাগের অবস্থান মঞ্চের সামনে পর্যন্ত যান জুনিয়র ডাক্তাররা। আর সেখানে তাঁদের বক্তব্য, ‘নির্যাতিতার জন্য সুবিচার না পাওয়া পর্যন্𝐆ত এমন নানারকম কর্মসূচির মধ্য দিয়🔯ে সাধারণ মানুষের মনে আন্দোলনকে জাগিয়ে রাখা হবে।’