আꦡজ মহাষষ্ঠী। এই উপলক্ষ্যে উৎসবের আমেজে মেতে উঠল মানুষজন। গোটা রাজ্যে এখন উৎসবের আমেজ। রাস্তায় ঢল নেমেছে মানুষজনের। এখন এই উৎসবের মধ্যেই মহাষষ্ঠীতে ডাক্তারদের অনশনের পঞ্চম দিনে স্বাস্থ্যভবনে ডেকে পাঠানো হল। আর সেই চিঠি পেয়ে পাল্টা ইমেলে জবাব দিলেন ডাক্তাররাও। তারপরই স্বাস্থ্যভবনে শুরু হয় মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের উপস্থিতিতে আলোচনা। এই আলোচনার পর অনশন উঠে স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হবে নাকি অচলাবস্থা অব্যাহত থাকবে সেটা সময়ই বলবে। তবে ইমেলে ডাক্তাররা সদর্থক জবাব দিয়েছেন।
ধর্মতলায় আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা এই বৈঠকে যোগ দিতে পৌঁছে যান স্বাস্থ্যভবনে। সেখানের কনফারেন্স রুমে হচ্ছে বৈঠক। তবে মুখ্যসচিবকে ইমেল করা হয়েছে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্সের পক্ষ থেকে। সেই চিঠিতে দু’জন সই করেন। একজন চিকিৎসক পুণ্যব্রত গুণ। আর একজন চিকিৎসক হীরালাল কোনার। তাঁরা চিঠিতে লেখেন, ‘আজ জুনিয়র ডাক্তারদের অত্যন্ত প্রয়োজনে সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ আলোচনা চাইছি। তাই চিঠিটি লিখছি। তাঁদের যুক্তিপূর্ণ দাবিগুলি মেনে নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতির সমাধান করুন। আমরা অত্যন্ত খুশি হবো আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করত🐷ে এবং সমস্যার সমাধান ঘটাত♍ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায়।’
আরও পড়ুন: ‘মাননীয়া, আপনিও আসুন’, অপর্ণা সেন–রাজ্যপাল অনশন মঞ্চে, আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীকে
রাজ্যের তৈরি টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক চলছে। যার নেতৃত্বে আছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। ৮ থেকে ১০ জন প্রতিনিধিকে আজকের বৈঠকে ডাকা হয়েছে বলে খবর। তারপরই ডাক্তাররা চিঠিতে লেখেন, ‘আমরা জোর দিচ্ছি দ্রুত পদক্ষেপ করে সাসপেন্ড অথবা কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠাতে🎀 হবে যাঁরা কলঙ্কিত। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ দফতর, পশ্চিমবঙ্গে মেডিক্যাল কাউন্সিল, পশ্চিমবঙ্গ হেলথ সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় এবং পশ্চিমবঙ্গ হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডে। এই দফতরগুলিতে যাঁরা কলঙ্কিত তাঁদের সরাতে হবে। প্রশাসনের উপর বিশ্বাস ফেরাতে গেলে এই পদক্ষেপ করা অত্যন্ত জরুরি।’
এই চিঠি রাজ্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির কৌশল বলে অনেকে মনে করছেন। এখন রুদ্ধশ্বাস গতিতে বৈঠক চলছে। আর তার মধ্যেই এমন চিঠি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তবে শেষে ডাক্তাররা লিখেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করছি আপনি দ্রুত উপযুক্ত পদক্ষেপ করবেন এবং আমাদের প্রতি সদর্থক ভূমিকা পালন করবেন।’ এই চিঠি মুখ্যসচিবকে লেখা 🎶হলেও জল কোনদিকে গড়াবে সেটা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। দুর্গাপুজোর মধ্যে যদি এই সমস্যা না মেটে তাহলে গরিব মানুষজন সরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা পাবেন না।