আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আর তার জেরে হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ–আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে। গতকালও রাস্তায় নেমেছিলেন ডাক্তার থেকে শুরু করে অভিনেতা–অভিনেত্রী এবং সাধারণ মানুষ। আর এই আবহে মেয়ের প্রাণের বিনিময়ে পুলিশ টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করতে চেয়েছিল বলে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন নির্যাতিতার মা–বাবা। যা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে সকাল থেকেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এবার বিষয়টি নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডলে ব💞িস🀅্তর প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ।
বুধবার রাতেও চিকিৎসকদের ডাকে সাড়া দিয়ে মানুষ রাস্তায় নেমেছিলেন। বাড়ির আলো নিভ💮িয়ে মোমবাতি নিয়ে প্রতিবাদে নামেন। অন্ধকারে ঢেকে যায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল থেকে রাজভবন। আর এই রাজপথেই সাংবাদিকদের সামনে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘৯ তারিখ রাতে টাকা দেওয়া হচ্ছিল। যখন মেয়ের দেহ দোতলায় শোয়ানো ছিল। রান্নাঘরের পাশে ছোট জায়গায় নিয়ে গিয়ে টাকার প্রস্তাব দেন ডিসি নর্থ। আমি তাঁকে বলি, আপনার কাঁধের আইপিএস লেখাটা পেতে যে কষ্ট করতে হয়, আমার মেয়ে তার চেয়েও বেশি কষ্ট করে এই জায়গায় 𒁃পৌঁছেছে। আপনি আমাকে টাকার লোভ দেখাচ্ছেন! আমাদের তখন মর্মান্তিক লেগেছিল।’
এই বিষয়টি নিয়ে আজ, বৃহস্পতিবার জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গোটা বিষয়টি নিয়ে জবাব দিতে এগিয়ে 🦋এলেন কুণাল ঘোষ। এক্স হ্যান্ডেলে আজ কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘টাকা? অভিযোগ মারাত্মক। টাকা কিংবা টাকা নয়, দুরকম ভিডিওই প্রকাশ্যে। কৌতূহল, টাকার অভিযোগটা সিবিআইকে দেওয়া বয়ানে ছিল কি না। না থাকলে, কেন এত বড় অংশটা সিবিআইকে বলা হয়নি? আর যদি বলা হয়ে থা𓆉কে, তাহলে সিবিআই এতদিনে সংশ্লিষ্ট অফিসারকে জিজ্ঞাসা করল না কেন?’ সুতরাং এখন বিষয়টি সিবিআই তদন্তের বিষয় বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন কুণাল।
আরও পড়ুন: কলকাতা জুড়ে দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু, পুলিশের তালিকা পেয়ে রাস্তা মেরামত করছে পুরসভা
꧑আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। এখন এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। আর আজ বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের সামনে আর একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। তাতে টাকার প্রস্তাব নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্যাতিতার মা–বাবাকে বলছেন, ‘আমাদের এসব বলার কোনও দরকার নেই। এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। আমরা কাউকে কিছু বলিনি। মিথ্যে গল্প বানিয়েছে। আমরা বিচার চাইছি। যাতে ন্যায়বিচার পাই, তার ব্যবস্থা করুন। নিজেদের প্রচারের জন্য কেউ কেউ মিথ্যে প্রচার করছেন।’ যদিও কোনও ভিডিয়ো যাচাই করে দেখেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল।