আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তার জেরে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে নেমেছেন। বিচারের দাবি তুলেছেন। স্লোগান উঠেছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। তার মধ্যেই একটি অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়ে যায়। আর সেটা পোস্ট করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। সেই অডিয়ো ক্লিপে দু’জনের কথোপকথন ধরা পড়েছে। একজন কলতান দাশগুপ্ত। অপরজন সঞ্জীব দাস। এই অডিয়ো ক্লিপ যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল। যাচাই করেছে কলকাতা পুলিশ। তারপরই গ্রেফতার হন কলতান ও সঞ্জীব। আদালতের নির্দেশে এখন তাঁরা পুলিশ হেফাজতে। এই ঘটনার পর গর্জে ওঠেন সিপিএম নেত্রী দীপ্সিতা ধর। সরাসরি আক্রমণ করেছেন কুণাল⭕ ঘোষকে। আর আজ, রবিবার সকালেই পাল্টা জবাব দিলেন কুণাল।
ওই অডিয়ো ক্লিপে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামল𝔉া করার পরিকল্পনা ধরা পড়েছে বলে কলকাতা পুলিশের দাবি। গলার স্বর মিলে গিয়েছে কলতান দাশগুপ্তের সঙ্গে বলে দাবি কলকাতা পুলিশের। যদিও তা মানতে নারাজ সিপিএমের নেতা–নেত্রীদের। তাই এই অডিয়ো ক্লিপ প্রসঙ্গে দীপ্সিতা ধর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে লেখেন, ‘ধরা যাক কলতান দার কথোপকথন সত্যি। তার মানে দু’জনের কেউ একজন রেকর্ড করেছে পুরো বার্তালাপ। আর সেই এটি চোর কুণালকে পাঠিয়েছেন।’ কুণাল ঘোষ এই অডিয়ো ক্লিপ সামনে নিয়ে আসায় তাঁকে ‘চ🃏োর কুণাল’ বলে সম্বোধন করেছেন দীপ্সিতা। যা নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
তবে এখনও জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বৈঠক🦂 হয়নি। যার জেরে এখনও রফাসূত্র বের হয়নি। নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকার জেরেই তা হয়নি বলে অভিযোগ উঠছে। সেখানে অডিয়ো ক্লিপটি বাড়তি অক্সিজেন দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। আর তাতেই রেগে গিয়ে দীপ্সিতা ধর সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী না দিদি, এই মানবিক মুখোশের আড়ালে আসলে দাঁত নখ বের করা স্বৈরাচারীর মুখটা ধরা পড়ছে। যারা ক্রমাগত রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে প্রতিবাদের টুটি চেপে ধরছেন। খ্যাপা কুকুরের মতো ๊হয়ে উঠেছেন।’
আরও পড়ুন: ‘ধরা যাক কলতান দার কথোপকথন সত্যি’, এবার বিস্ফোরক পোস্ট করলেন দীপ্সিতা
একদিকে যেমন মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করা হয়েছে তেমন কুণালের দিকে ইঙ্গিতও করা হয়েছে নাম না করে। যার জবাবে আজ কুণাল ঘোষ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘দীপ্সিতা। অডিও নিয়ে ﷽আমাকে বিশেষণ–সহ গাল দিয়েছেন দেখলাম। অডিও আপনাদের অনেকের কাছেই ছিল, সেখান থেকে লিক। আসল কথা, ওই হামলার ভয়ঙ্কর চক্রান্ত যদি ঠিক হয়, এক সংলাপকারী স্বীকারও করেছেন, তার পরেও কথা?তা সুশান্ত ঘোষের ভিডিওটা দেখেছে🧜ন নাকি? ওগুলো ভারি পছন্দ বলে ও নিয়ে নীরব ????’ সুশান্ত ঘোষ সিপিএম জমানার প্রাক্তন মন্ত্রী। যাঁর বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে এক মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। তার জেরে জেলা সম্পাদক পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দিয়েছে সিপিএম।