আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনা ঘটেছিল। আর তা নিয়ে আন্দোলনে নেমে পড়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তখনই সামনে চলে আসে ‘থ্রেট কালচার’। সেটা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। তবে গতকাল ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের চিকিৎসক দীপ্র ভট্টাচার্যের রহস্যমৃত্যু হয়েছে। পুলিশ তাঁর মোবাইলের একটি মেসেজ থেকে থ্রেট কালচারের তথ্য পেয়েছে। যদিও এবার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জুন🐭িয়র ডাক্তারদেরকে কটাক্ষ করে বিতর্কে জড়ালেন। থ্রেট কালচার কাকে বলে সেটা উনি বুঝিয়ে দেবেন বলেছেন। যা নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতিতে ঝড় বইতে শুরু করেছে।
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে গোটা রাজ্যে যথেষ্ট তোলপাড় হয়েছিল। আর এই জুনিয়র ডাক্তারদের ভূমিকা নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। এবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘থ্রেট কালচার নিয়ে মামলা কাকে বলে আমি আগামিকাল থেকে দেখিয়ে দেব।’ অর্থাৎ আজ🌳, শুক্রবার থেকে সেই পদক্ষেপ দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। থ্রেট কালচার চালানোর অভিযোগ ওঠে একাধিক জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে। তাই এই ঘটনা তুলে ধরে সরব হয়েছিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। তার জেরে অভিযুক্তদের সাসপেনশনের মুখে পড়তে হয়। যদিও পরবর্তী সময়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তি পান তাঁরা।
আরও পড়ুন: ‘বাংলা আবার কেন্দ্রকে অনুপ্রাণিত করল’, পিএম বিদ্যালক্ষ্মী প্রকল্প নিয়ে খোঁচা ব্রাত্যর
এই ঘটনায় দেখা যায়, জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এমন ঘটনায় বাংলার মানুষজনও বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে যায়। তারপর অ্যাকাউন্টে টাকা আসা থেকে শুরু করে একেক জনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠে আসতে থাকে। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের আক্রমণ করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘ওদের খিদে কিছুতেই মিটবে না। ওদের আগে কাজ করতে বলুন। ওরা তো কাজই করে নಞা। আগামিকাল থেকে আমি মামলায় নামছি। থ্রেট কালচার নিয়ে মা🎐মলা কাকে বলে আমি আগামিকাল থেকে দেখিয়ে দেব’। এই হুঁশিয়ারি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
এছাড়া তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে নানা দাবি তোলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেসব মেনে নেয় রাজ্য সরকার। তারপর উঠে যায় কর্মবিরতি থেকে শুরু করে আমরণ অনশন। ইতিমধ্যেই জুনিয়র ডাক্তাররা আরও একটি চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে। সেখানে কথা অনুযায়ী কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। আর 💖গতকাল নিহত তরু💮ণী চিকিৎসকের বাড়িতে যান জুনিয়র ডাক্তাররা। কারণ তাঁর বাবা–মা কেমন আছে সেটা জানতেই সোদপুর সফর। এই আবহে কল্যাণের হুঁশিয়ারি আলোড়ন ফেলে দিয়েছে।