আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়ের ঠাঁই হল প্রেসিডেন্সি জেলে। আর প্রেসিডেন্সি জেলে বর্তমানে রয়েছেন রাজ্যের দুই প্রাক্তন মন্ত্রী। তাদেরই প্রতিবেশী হল এবার সঞ্জয়। আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়। আদালত তাকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে। আরজি করের সেমিনার রুমে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ও ধৃত সঞ্জয় রায়। এবার তার রাত কাটবে জেলের কুঠুরিতে।
আপাতত তার ঠিকানা হচ্ছে পহেলা বাইশের ২১ নম্বর সেল। এই পহেলা বাইশের ২ নম্বর সেলে থাকেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত তিনি। ৫ নম্বর কুঠুরিতে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। আর এবার সেই পহেলা বাইশেই স্থান পেল খুন-ধর্ষণে অভিয𝓰ুক্ত সঞ্൲জয় রায়। সব মিলেমিশে একাকার।
এদিকে হাবিব নামে এক বন্দি এ🗹তদিন থাকতেন ২১ নম্বর সেলে। কিন্তু এবার সেই সেলে থাকলে সঞ্জয়। সেকারণে হাবিবকে সরানো হল।
এদিকে পহেলা বাইশেই সাজাপ্রাপ্ত বন্দি আফতাব আনসারি, মুসার স্থান হয়েছে। সেখানে থাকবে সঞ্জয়।&nbs🐻p;
এদিকে গোটা বিশ্ব জুড়ে এই আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ। এবার সঞ্জয়কে ঘিরে জেল বন্দিদের মধ্য়ে কোনও প্রতিবাদ ধ্বনিত হয় কি না সেটাও দ🌳েখার। কারণ একটা সময় পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কেও জেলের মধ্য়ে ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল। তবে এবার সঞ্জয়কে সেই ধরনের ক্ষোভের মধ্যে পড়তে হয় কি না সেটাও দেখার। তবে এই সেলগুলির উপর বাড়তি নজরদারি থাকে জেল কর্তৃপꦿক্ষের। কারণ এখানে সব কুখ্যাত অভিযুক্তরা থাকে। সিসি ক্যামেরার নজরদারি থাকে সবসময়। পরপর ২২টি কুঠুরিতেই সিসি ক্যামেরার নজরদারি থাকে। বন্দিরা কোথাও কোনও বিপত্তি করে ফেলছে কি না সেটা নজরে রাখা হয়।
শুক্রবার শিয়ালদার অতিরিক্ত মুখ্য় বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (এসিজেএম)এর আদালতে সঞ্জয়কে তোলা হয়েছিল। সেখানেও কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এরপর আদালত সঞ্জয়কে ১৪দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠায়।
পহেলা বাইশে থাকবে সঞ্জয়। পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। অনেকেই বলছেন পার্থ কিংবা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যদি মন্ত্রী হিসাবে থাকতেন তখন হয়তো তাদের কাছাকাছি একই ধরনের ব্যবস্থায় রাত কাটানোর সুযোগ পেত না সিভিক সঞ্জয়। তবে জেলে গিয়ে সব একাকার। এবার তৃণমূলের একসময়ের দুই দাপুটে মন্ত্রীর অস্থায়ী ঠিকান♒ার পাশেই রাত কাটাতে পারবে সঞ্জয়। তবে প্রাক্তন মন্ত্রীদের সঙ্গে কি কথা হবে?