আজ ২১ জুলাই। তৃণমূল কংগ্রেসের মেগা ইভিন্ট ‘শহিদ দিবস’। তার জেরে উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতা এবং কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ—আজ, শুক্রবার বাংলার সব রাস্তা এসে মিশছে মধ্য কলকাতার ধর্মতলায়। ইতিমধ্যেই গ্রাম থেকে শহর—সর্বত্র শহিদ দিবসের প্রস্তুতিতে পোস্টার–ব্যানারে ছয়লাপ। আজকের মঞ্চ থেকেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের বার্তা দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো বলে খবর। আবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে দারুণ সাফলꦆ্য পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই আবহে একুশের মঞ্চ থেকে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করার ডাক দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন ধর্মতলার সভামঞ্চ থেকে অভিষেক কড়া ভাষায় বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে তুলোধনা করেন। 💃আর দলীয় কর্মীদের রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘আগামী ৫ অ⛦গস্ট প্রতিটি ব্লকে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করুন। আগে তালিকা তৈরি করুন। তারপর আগামী ৫ অগস্ট বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করুন। প্রত্যেকটি বিজেপি নেতার বাড়ি ঘেরাও করুন।’ শহরে এখন জেলাগুলি থেকে কর্মী–সমর্থক এবং সাধারণ মানুষ এসে পৌঁছেছেন। ভোর থেকেই কর্মীরা ধর্মতলামুখী হতে শুরু করেছেন।
আর কী বলেছেন অভিষেক? আজ, তৃণমূল কংগ্রেসের মেগা ইভেন্ট শুরু হয়ে গিয়েছে ধর্মতলায়। ইতিমধ্যেই জেলা থেকে লোকজন এসে পৌঁছেছেন। প্রাতঃরাশ করে এখনই সবাই ধর্মতলার পথে এগিয়ে চলেছেন। জনসমুদ্র দেখে অভিষেক নির্দেশ দেন, ‘আমি দলের কর্মীদের বলছি, টানা আট ঘণ্টা বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করে রাখুন। যাতে দি♉ল্লিতে যারা বসে আছে তাদের গদি নড়ে যায়। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখুন। যাতে ওই বিজেপি নেতারা বাড়ি থেকে বেরতে এবং ঢুকতে না পারেন।’
আরও পড়ুন: একুশের মঞ্চে নেই কুণাল ꦬঘোষ–বাইরন বিশ্বাস, অভিষেক এসে দেখলেনℱ জনসমুদ্র
তবে এই বিষয়ে অভিষেক খানিকটা মানবিকও হয়েছেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মসূচিটা একটু সংশোধন করে দিয়েছেন। অভিষেকের কথায়, ‘বয়স্ক মানুষ হলে ছেড়ে দেবেন। কিন্তু বিজেপি নেতাকে বাড়ি থেকে বেরতে দেবেন না। তাহলেই বুঝতে পারবে ক্ষতি করলে কি হয়।’ 🦄কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মসূচি সংশোধন করে এদিন মঞ্চ থেকে বলেন, ‘একেবারে বাড়ির সামনে যাবেন 🧸না। তবে অভিষেক যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সেটা পালন করবেন। কিন্তু বিজেপি নেতার বাড়ির ১০০ মিটার দূর থেকে।’ সুতরাং আগামী ৫ অগস্ট সরগরম হয়ে উঠবে রাজ্য। এটা বিজেপির বিডিও ঘেরাও কর্মসূচির পাল্টা বলে মনে করা হচ্ছে। গান্ধী জয়ন্তীতে ২ অক্টোবর দিল্লি চলোর ডাক দিয়েছেন অভিষেক।