সম্প্রতি মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটি কোটি টাকা নয়ছিয়ের অভিযোগ সামনে এসেছে। ক্যাগের সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২০২ কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে। এরপরেই নড়েচড়ে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যা♎লয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী নির্দেশ দিয়েছেন তাঁর অনুমোদন ছাড়া কোনওভাবেই অর্থ খরচ করা যাবে না। আর এই নির্দেশকে ঘিরেই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। উপাচার্যের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে কর্মবি꧒রতি শুরু করলেন অফিসারদের একাংশ। তাদের বক্তব্য, তারা উপাচার্যের নির্দেশ মানতে বাধ্য নন।
আরও পড়ুন: ম্যাকাউটে পাঁচ বছরে বিপুল সরকারি অর্থ নয়ছয়, ক্যাগের পর্য�𓃲�বেক্ষণে চাঞ্চল্যকর তথ্য
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ক্যাগের রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে ২০৮ সালে🌱র ১ এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ২০২ কোটি ৪২ লক্ষ ১ হাজার ১৫৮ টাকা নয়ছয় হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। তারপরে অর্থ খরচ নিয়ে ফিন্যান্স অফিসারকে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন উপাচার্▨য। ক্যাগের রিপোর্টে বলা হয়েছে, পূর্ত দফতর ও ইঞ্জিনিয়ারদের পরীক্ষা এবং অনুমোদন ছাড়াই বিভিন্ন নির্মাণে হিসেব বহির্ভূতভাবে ১৫৫ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষার ফি, রেজিস্ট্রেশন বা ডেভলপমেন্ট ফিয়ের ক্ষেত্রে ২ কোটি টাকার কোনও হিসেব পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি নিয়ম না মেনে আড়াই কোটিরও বেশি সরঞ্জাম কেনার অভিযোগ উঠেছে। তারপরেই উপাচার্য এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে লিখিতভাবে ফিন্যান্স অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন তাঁর অনুমোদন ছাড়া কোনও অর্থ বরাদ্দ হলে সে ক্ষেত্রে তিনি দায় নেবেন না।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসাররা জানিয়েছেন, তারা উপাচার্যের নির্দেশ মানতে বাধ্য নন। কারণ তারা উচ্চশিক্ষা দফতরের মাধ্যমে নিয়োগ হয়ে থাকেন। সেখান থেকে তারা বেতন পান। তাছাড়া উপাচার্য যে নির্দেশ দিয়েছেন তার কোন বৈধতা নেই। যদিও অফিসারদের নির্দেশ দেওয়ার কোনও অধিꦍকার নেই সে♌ কথা মেনে নিয়েছেন উপাচার্য। তবে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন অফিসারদের নিয়ম মানতে হবে। অফিসারদের বক্তব্য, উপাচার্য নিয়ম না মেনে নানারকম নির্দেশ দিচ্ছেন। তারফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা কাজে সমস্যা হচ্ছে। তাঁকে আলোচনায় বসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, বসেননি। সেই কারণেই প্রতিবাদে এই কর্ম বিরতি। অফিসারদের কর্মবিরতির ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা কাজ ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।