উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সম্প্রতি রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের🃏 দ্বন্দ্ব তীব্র হয়েছে। এনিয়ে একাধিকবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে আক্রমণ করেছেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এবার রাজ্যের উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে যেভাবে হস্তক্ষেপ চলছে তা ‘নজিরবিহীন’ বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শুধু তাই নয়, এই হস্তক্ষেপ নিয়ে শীর্ষ আদালতে যাবে রাজ্য সরকার। এমনটাই জানিয়েছেন ব্রাত্য বসু। সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোনীত উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। এদিনই একটি অনুষ্ঠানে সেই বৈঠক নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ‘কেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষানীতি রাজ্য গ্রহণ করেনি✅🍎’, বিধানসভায় সপাটে জবাব ব্রাত্যর
এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, ‘এ রাজ্যে উচ্চশিক্ষায় রাজভবন থেকে নজিরবিহীনভাবে হস্তক্ষেপ চলছে। রাজ্যপাল কী এভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারেন? তা জানাতেই আমরা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছি।’ একই সঙ্গে এই অনুষ্ঠান থেকে রাজ্যপালের এই🔯 হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করার জন্য বিরোধীদের পাশে থাকার আবেদন জানিয়েছেন ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, ‘বিরোধীপক্ষকে বলবো রাজ্যপালের𓂃 বিরোধিতা করে নির্বাচিত সরকারের পাশে থাকুন।’
উল্লেখ্য, এ রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসে রাজ্যপাল বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাটের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক থেকে রাজ্যপাল বার্তা দিয়েছেন, ‘কোনও দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না।স্বচ্ছতার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক নജিয়োগ করতে হবে। এর জন্য রাজ্যের বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞের আনা হবে।’ এই প্রসঙ্গে তিনি রাজ্যে নিয়োগের দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে রাজ্যের একজন মন্ত্রী জেলে রয়েছেন। দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। সেই বৈঠক নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আদালতে যাওয়ার কথা জানান &n🌜bsp;শিক্ষা মন্ত্রী।
অন্যদিকে, ব্রাত্য বসু উচ্চ শিক্ষা নিয়ে একটি কনভেনশনের আয়োজন করার কথাও জানান। তিনি জানান, এই কনভেনশনে গোটা দেশ থেকে বক্তারা আসবেন। প্রসঙ্গত, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের🤪 ক্যাম্পাসে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে সমন্বয়ের জন্য একটি কেন্দ্র গড়ে তুলতে চাইছে রাজভবন। তা নিয়েও শিক্ষা মন্ত্রী কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, ‘রাজ্যপাল এটা ক্রমাগত করেই চলেছেন। তিনি এসব করে কী পাচ্ছেন আমি জানিনা। তবে নির্বাচিত রাজ্য সরকার, উচ্চশিক্ষা দফতরকে বাদ দিয়ে তিনি এসব কাজ কর♛তে পারেন কিনা তা জানতেই আমরা আদালতে যাচ্ছি।’ পাশাপাশি রাজ্যপালের বৈঠকে রাজ্যের উপাচার্যদের উপস্থিতি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বাংলার উপাচার্যরা যদি রাজ্য সরকারের অনুরোধ অগ্রাহ্য করে বৈঠকে যেতে পারেন। তাহলে অন্য রাজ্য থেকে সেই বৈঠকে উপাচার্য আসতে ক্ষতি কী।’ যদিও ব্রাত্য বসুর এই মন্তব্যের প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, ‘যা হয়ে গিয়েছে তা হয়ে গিয়েছে।’