নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে গ্রেফতার হলেন কালীঘাটের কাকু ওরফ🔜ে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। দীর্ঘ প্রায় ১২ ঘণ্টা জেরার পর মঙ্গলবার রাতে তাঁর গ্রেফতারির খবর জানান বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্সের ইডির আধিকারিকরা। ভুয়ো সংস্থা খুলে নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এছাড়া তিনি তদন্ত সহযোগিতা করছেন না বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
🏅ইড🍬ি সূত্রের খবর, তিনটি কোম্পানির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করেছেন সুজয়কৃষ্ণ বাবু। এই সব সংস্থায় তাঁর অংশীদারিত্ব থাকলেও তিনি অস্বীকার করেছেন বারবার। কালীঘাটের কাকুর বাড়িতে একাধিকবার তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই ও ইডি। এর আগে তিনি সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন তিনি। এবারই প্রথমবার ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন। গত ২০ মে তাঁর বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি চালায় ইডি।
তল্লাশি উদ্ধার হওয়া নথির ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার সুজয়কৃষ্ণবাবুকে তলব করে ইডি। বেলা ১১.৩০ মিনিট নাগাদ বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন তিনি। ইডি সূত্রে খবর, মঙ্গলবারের জেরায় একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। বকলমে তিনি যে ভুয়ো সংস্থা চালাতেন সেই সংস্থা সুজয়কৃষ্ণ বাবুর সামনে পেশ করা হলে অস্বীকার করেন তিনি। এমনকী শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যবসায়𝄹 স💮ুজয়কৃষ্ণের বিনিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। নানা ভাবে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন তিনি। এর পরই তাঁকে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নেন গোয়েন্দারা।
নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত গোপাল দলপতি ও তাপস মণ্ডলের মুখে প্রথম শোনা গিয়েছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নাম। কুন্তলের মুখে তাঁরা এই নাম শুনেছিলেন বলে জান꧋ান তাপসবাবু। কিন্তু তাঁর সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির কোনও যোগ অস্বীাকার করেছেন তিনি। সুজয়কৃষ্ণবাবুর দাবি, তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের পুরনো কর্মী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফাঁসাতে না পেরে তাঁকে ♛নিয়ে টানাটানি করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।