বুধবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক চলাকালীন দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের জেরে আগামী ২ মে থেকে ✃রাজ্যের সমস্ত সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গরমের ছুটি ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গরমের ছুটি চলবে ১৬ জুন পর্যন্ত। বর্ধিত এই গরমের ছুটি নিয়ে আপত্তি রয়েছে শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকদের একাংশের।
তাদের দাবি, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সবে খুলেছে স্কুলগুলি। এখনো সব জায়গায় স্বাভাবিক হয়নি পঠনপাঠন। এরই মধ্যে সাময়িক তাপপ্রবাহের কারণ দেখিয়ে ফের ৪৫ দিনের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ꦚধের ঘোষাণা ছাত্রছাত্রীদের ক্ষতি করবে। বদলে সকালে পঠনপাঠনের নির্দেশ দিতে পারত সরকার। পঠনপাঠন চলতে পারত অনলাইনেও। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে আগামী ১ মে থেকে দক্ষিণবঙ্গে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। তাহলে কেন ২ মে থেকে ছুটি ঘোষণা করল সরকার?
অনেকের মতে, তেমন হলে কয়েকদিনের জন্য বিশেষ ছুটিও দেওয়া যেতে পারত। তাছাড়া উপকূলবর্তী ২ জেলা ও উত্তরবঙ্গের জ💞েলাগুলিতে তাপপ্রবাহের কোনও প্রভাব নেই। তাহলে সেখানে কেন বন্ধ থাকবে স্কুল, উঠছে সেই প্রশ্নও।
ইতিমধ্যে শিলিগুড়ি মহকুমায় স্কুল খোলা রাখার দাবি জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রা🍃ত্য বসুকে চিঠি দিয়েছেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ। তাঁর দাবি, রাজ্য প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক। কলকাতায় গরম পড়েছে বলে শিলিগুড়ির শিশুরা শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে কেন। এই সব সিদ্ধান্তের জেরেই তো উত্তরবঙ্গের প্রতি দক্ষিণবঙ্গের বঞ্চনার অভিযোগ মনে জাগে।
বিজেপির দাবি, রাজ👍্যের সরকারি স্কুলগুলিকে বন্ধ করে দিতে চায় মমতা সরকার। সেজন্য একদিকে যেমন তারা শিক্ষক নি꧂য়োগ বন্ধ করে দিয়েছে তেমনই লাগাতার ছুটি দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের বেসরকারি স্কুলমুখি হতে বাধ্য করছে তারা।