রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগಌ💜 রয়েছে। এবার তা নিয়ে তীব্র আক্রমণ করে বিবৃতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী সঞ্জয় বসু। তাঁর দাবি, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে স্পষ্ট, রাজ্যপাল এতদিন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিবৃতি দিয়েছিলেন। রাজ্যপালের পদ দিয়ে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আড়াল করা যাবে না। এই যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন রাজভবনের অস্থায়ী মহিলা কর্মী। সেই মামলায় আজ, শুক্রবার রাজ্যের উদ্দেশে নোটিশ জারি করেছে সর্বোচ্চ আদালত। এমনকী কেন্দ্রীয় সরকারকেও এই মামলায় যুক্ত করার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে মামলাকারীকে।
এদিকে গত ২ মে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠে। রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী 🌜দাবি করেন, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁর শ্লীলতাহানি করেছেন। রাজভবনে উপস্থিত থাকা পুলিশের কাছেও অভিযোগ জানান নির্যাতিতা। তারপরে হেয়ার স্ট্রিট থানায় গিয়ে একই অভিযোগ করেন ওই মহিলা। সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ করতে পারেনি কলকাতা পুলিশ। সঞ্জয় বসু বিবৃতিতে বলেছেন, ‘পদ ও ক্ষমতা ব্যবহার করে যৌন হেনস্থার মতো ঘটনাকে ঢাকা যাবে না। সুপ্রিম কোর্ট সেই মর্মে দিক্নির্দেশ করবে। রাজ্যের উদ্দেশে নোটিশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি জানান নির্যাতিতা। আর রাজ্যপাল যে বিবৃতি দিয়েছিলেন, সেগুলিꦉ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাই রাজ্যপালের পদমর্যাদার অবমাননা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিধানসভায় বসতে চলেছে অত্যাধুনিক ক্যা🌼মেরা, নিরাপত্তায় বাড়তি কড়াকড়ির কারণ কী?🐷
অন্যদিকে এই অভিযোগ নিয়ে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। আজ, শুক্রবার শুনানিতে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তে ছাড়পত্র চেয়ে সর্বোচ্চ আদালতে জোর সওয়𒊎াল করেন নির্যাতিতা। রাজ্য সরকারও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে চেয়ে সওয়াল করে। যার প্রেক্ষিতে রাজ্য–কেন্দ্রকে একযোগে নোটিশ পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এমনকী অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই মামলায় আদালতকে সহযোগিতা করতে। এই মামলাটি প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ𝓡্রের বেঞ্চে ওঠে। নির্যাতিতার বয়ানের ভিত্তিতে ‘অনুসন্ধান’ চালায় লালবাজার। ডিসি (সেন্ট্রাল) বিষয়টি নিয়ে ‘সক্রিয়’ হন।
এছাড়া রাꩲজভবনের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষাও শুরু করে পুলিশ। কিন্তু এই বিষয়টির উপর কলকাতা হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেওয়ায় তদন্ত প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। আজ শ꧙ুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগকারিণীর আইনজীবীরা দাবি করেন, গত ২৪ এপ্রিল এবং ২ মে দু’টি ঘটনায় কিছু তথ্য সংগ্রহ হয়েছে। কিন্তু তদন্ত করা যাচ্ছে না। অভিযোগ গুরুতর হলেও সংবিধানের ৩৬১ অনুচ্ছেদের রক্ষাকবচ রয়েছে। তিন সপ্তাহ পরে আবার এই মামলার শুনানি হবে। অভিযোগকারিণীর আবেদন,সুপ্রিম কোর্ট বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে রাজ্যপালের বয়ান রেকর্ড করুক। পুলিশ তাঁকে সুরক্ষা দিক এবং পরিচয় গোপন রাখা হোক।