আজ ২ মে। তৃণ💝মূল কংগ্রেস সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে তৃতীয়বার বাংলার মসনদে সরকার গড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। আর তাতেই বিজেপির ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। তখন থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে আসছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর আজ, মঙ্গলবার তৃতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে শাসকদলকে টুইট করে কড়া আক্রমণ করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
এদিকে বিরোধী দলনেতার টুইটে আজ আবার উঠে এসেছে ভোট পরবর্তী হিংসার কথা। তৃণমূল কংগ্রেস আঞ্চলিক দলে পরিণত হওয়া নিয়েও সেখানে করা হয়েছে কটাক্ষ। এটা বাংলার কালো দিন বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। যদিও বিরোধী দলনেতার টুইটের পাল্টা উত্তর কোনও নেতা দেননি। অর্থাৎ এই টুইটকে গুরুত্বহীন করে দিতেই কোনও মন্তব্য করা হয়নি। আজ, তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে একটা ঐতিহাসিক দিন। বাংলার মানুষের বিপুল স𓆏মর্থনে হ্যাট্রিক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই দলের মধ্যে একটা আনন্দের আমেজ বইছে। সেখানে বিরোধী দলনেতার মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি নন কেউ।
ঠিক কী লিখেছেন শুভেন্দু? অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে কড়া ভা🌊ষায় টুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি টুইটে লেখেন,ౠ ‘২০২১ সালের ২ মে, যাঁরা অভূতপূর্ব ভোট পরবর্তী ভয়াবহ হিংসা এবং সন্ত্রাসের শিকার হয়েছিলেন তাঁদের শ্রদ্ধা জানাই। সেই কালো দিনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি পালন করা হচ্ছে। এখন আঞ্চলিক দলে পরিণত হওয়া তৃণমূল কংগ্রেস সবরকম নৃশജংসতা দেখিয়েছিল। বাংলার গণতন্ত্রের ইতিহাসে এটা অভিশপ্ত, কালো দিন। আমাদের কর্মীদের বলিদান কখনও ভুলব না। তাঁদের সঠিক বিচার দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। বাংলার বিজেপি কর্মীদের ওপর সেই অত্যাচারের কথা আমরা যেন ভুলে না যাই।’
আর কী জানা যাচ্ছে? এখন রাজ্যজুড়ে তৃণমূলে নব জোয়ার কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। সেখানের এক জনসভা থেকে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্প♒াদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘ও তৃণমূলের লক্ষ্মী। ও বিজেপিতে যত থাকবে, ততই বিজেপির অবস্থা খারাপ হবে।’ এমন মন্তব্যই করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যাতে বেজায় চটেছেন বিরোধী দলনেতা থেকে বিজেপি নেতারাও। কিন্তু এই নিয়ে ঢোঁক গিলতে হয়েছে। কারণ বিজেপির অন্দরে শুভেন্দু বিরোধী গোষ্💎ঠীও রয়েছে। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিকেই বেছে নিয়েছেন আক্রমণের জন্য বলে মনে করা হচ্ছে।