অ্যাডিনো মোকাবিলায় এবার টাস্ক ফোর্স তৈরি করল রাজ্য় সরকার। নবান্নের তরফে এনিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে🦹। আট সদস্যের এই টাস্ক ফোর্স করা হয়েছে। নবান্নের তরফে তৈরি করা ওই টাস্ক ফোর্সে রয়েছেন, রাজ্য়ের মুখ্য়সচিব, মুখ্য়মন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্য়ায়, নারী ও শিশু কল্যান দফতরের প্রধান সচিব, ডিরেক্টর অফ হেলথ সার্ভিস, ডিরেক্টর অফ মেডিক্যাল এডুকেশন, চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায় ও গোপালকৃষ্ণ ঢালি এই টাস্ক ফোর্সে রয়েছেন। অ্যাডিনো ভাইরাসের হানা যাতে হাতের বাইরে চলে না যায় সেকারণে এই টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এই টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা নিজেদের মধ্য়ে সমণ্বয় রেখে কাজ করবেন। তারা নিয়মিত এনিয়ে মিটিংয়ও করবেন।&nb🦩sp;
শনিবার মুখ্যসচিবের উপস্থিতিতে অ্যাডিনো মোকাবিলা নিয়ে মিটিং হয়েছিল। সেখানে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। কীভাবে এই রোগ না বাড়ে, নতুন করে শিশুর মৃত্যু না হয়, সরকারি হাসপাতালের পরিস্থিতি সম্পর্কে পর্যালোচনা করা হয়। তারপরই এই টাস্ক ফোর্স গঠনের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সব স্তরের হাসপাতালে সপ্তাহে সাতদিনই ২৪ ঘণ্টা করে ফিভার ক্লিনিক খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবান্ন জানিয়েছে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা রয়েছে। চিকিৎসার গাইড লাইন পাঠানো হয়েছে। একাধিক স্বাস্থ্য🧔 আধিকারিক ও কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। হেল্প লাইন নম্বরটি হল, ১৮০০৩১৩৪৪৪২২২।
এদিকে ভাইরাসের হানায় একের পর এক শিশুর মৃত্যু।⛦ শিশুদের শ্বাসকষ্ট। ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে শিশু সন্তান। এদিকে সরকারি হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শনিবার ভোররাতে বিসি রায় শিশু হাসপাতালে বনগার বাসিন্দা এক শিশুর মৃত্যꦅু হয়েছে। তার বয়স ছিল𓂃 সাত মাস। বনগাঁ হাসপাতাল থেকে তাকে বিসি রায় শিশু হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল। সেখানেই মৃত্যু হয় ওই শিশুর।
এভাবেই একের পর এক মায়ের কোল খালি হয়ে যাচ্ছে । কান্নার রোল হাসপাতাল চত্বরে। হাহাকার একাধিক পরিবারে। সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগ। একেবারে দিশেহারা অবস্থা। গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় বক্তব্য় রাখার সময়🦩 অ্য়াডিনো নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন। মাস্ক পরার পরামর্꧟শ দিয়েছিলেন। এদিকে বিরোধীরাও এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থা ব্যর্থ বলেও দাবি করেছিলেন তারা। তবে এবার টাস্ক ফোর্স গঠন করে পরিস্থিতি মোকাবিলার দিকে এগোল রাজ্য সরকার।