অবশেষে আতশবাজি হাবের জন্য জায়গা চূড়ান্ত হল। ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের কাছে রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা জায়গা আতশবাজি হাবের জন্য বেছে নেওয়া 🥃হয়েছে। ওই জমিতেই শুরু হবে কাজ। মঙ্গলবার ক্ষুদ্র ও কুটির♛ শিল্প দফতরের আধিকারিকরা ও আতশবাজি ব্যবসায়ীরা জমি পছন্দ করেছেন।
জমিটি কলকাতা পুরসভার অধীনে। ওই জমিতে ৮০ জন আতশবাজি ব্যবসায়ীকে জায়গা দেওয়া হবে। যে জমিতে তাঁরা কারখানার পাশপাশি একটি গুদাম ঘরও তৈরি করতে পারবেন। মোট আট বিঘা জমির উপর এই হাবটি তৈরি হবে। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতর সূত্রে খবর, কালি পুজোর পর এই হাব তৈরির কাজ শুরু হবে। এই হাব তৈরির জন্য ৯০ শতাংশ ভর্তুকি দেবে রাজ্য সরকার বাকি ১০শতাংশ ভর🍸্তুকি দেবে বাজি ব্যবসায়ীরা।
(পড়তে পারেন। সিপিএমের পꦏ্রাဣক্তন বিধায়কের তৎপরতায় উদ্ধার বিরল প্রজাতির কচ্ছপ)
সারা বাংলা আতশবাজি ব্যবসায়ী সমিতির তরফে বাবলা রায়ಞ বলেন, 'রাজ্য সরকারের উদ্যোগের জন্য আমরা খুশি। আমারও সব রকম ভাবে সহযোগিতা করব।' প্রতিবছর কালিপুজোর আগে শহিদ মিনারের কাছে আতশবাজির মেলা বসে। এ বার ব্যবসায়ীরা চাইছেন প্রস্তাবিত হাবেই সেই মেলা হোক।
গত ২৫ এপ্রিল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় আতশবাজির কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। সেই বিস্ফোরণে মারা যান ৮ জন। তারপর নড়চড়ে বসে প্রশাসন। রাজ্যে জুড়ে ছড়িয়ে থাকা বেআইনি আতশবাজির কারখানাগুলিতে ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ-প্রশাসন। পুলিশের এই পদক্ষেপে প্রত𒈔িবাদে সরব হন আতশাবাজি ব্যবসায়ীরা। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আতশবাজি কারখানাগুলির উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে লক্ষাধিক মানুষের রুটিরুজি জড়িত। পুলিশ যদি আতশবাজি কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়, ত꧒া হলে তাঁরা বড়সড় আন্দোলনে নামবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।
এই নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী আতশবাজি হাব তৈরির কথা বলেন। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকেও এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়। তিনি একটি কমিটিও তৈরি করে দেন। সেই কমিটি হাব তৈরির নানা দিক নিয়ে বৈঠক♑ করে চূড়ান্ত নিয়েছেন।