কলকাতা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়ির দুই পোষ্যের 'বিবাহ বার্ষিকী' পালন করতে ভাড়া নেওয়া হল পার্কস্ট্রিটের একটি বাড়ি। আর এই কাণ্ডের ভিডিয়ো পোস্ট করে শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হলেন বিজেপি নেতা তথা কাউন্সিলর সজল ঘোষ। ঘটনা প্রসঙ্গে সজল বাবু ফেসবুক পোস্টে লেখেন, 'আমিও ভীষন কুকুর প্রেমী। বহু বছর ধরে আমার বাড়িতে আমি কুকুর লালন পালন করি। কিন্তু তাই বলে একেবারে পার্ক স্ট্রিটের ওপরে পার্ক হোটেলের পাশের বাড়িতে (১৯ নং, পার্কস্ট্রিট) লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে এরকম একটা আভিজাত হল ভাড়া নিয়ে কুকুরের বিবাহ বার্ষিকী করার ক্ষমতা বা মানসিকতা আমার নেই। কারণ আমি তো তৃণমূল করি না।' (আরও পড়ুন: ফের আমরণ অনশন, ডিএ-র দাবিতে ২৯ থেকে অনির𝓰্দিষ্টকালের ধর🥀্মঘটের হুঁশিয়ারি মঞ্চের)
আরও পড়ুন: 'মಞমতার অনুপ্রেরণায়' কলকাতা পুরসভার নাম বদলের দাবি কাউন্সিলরের, কী ব𒁏ললেন ফিরহাদ?
সজল ঘোষ আরও লেখেন, ‘শুনেছিলাম আগে বড়লোকরা নাকি বিড়ালের বিয়ে দিত। তো তৃণমূলীরা কেন কুকুরের বিবাহ বার্ষিকী পালন করবে না? থাক না রাস্তায় বসে যারা, নাই পাওয়া যাক ডিএ। বিবাহ বার্ষিকী তো দেখলাম। কোনও দিন নিশ্চয়ই দেখব বিয়ে। কোনওভাবেই কুকুরপ্রেমীদের আঘাত করার জন্য এই পোস্ট নয়। যাকে ঘিরে এই আয়োজন, তার ভালো বা মন্দ এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত নয়। এটা একটা মোচ্ছবের উপলক্ষ মাত্র। যতদূর শোনা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর মাতার পরিবারের বা তাঁর ব্যক্তি উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান হচ্ছে।’ (আরও পড়ুন: মঙ্গলে বাংলার জন্য আসবে 'সুখবর'? বকেয়া নিয়ে দিল্লিতে বৈঠকে ডাক 🐽বাংলার সচিবদের)
উল্লেখ্য, বিগত দিনে কলকাতা পুরসভার নাম একা꧟ধিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়েছে। কলকাতার পুর স্কুলগুলিতে শৌচাগার সংস্কারের নামে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এদিকে পুরসভার স্কুল পড়ুয়াদের জন্য বর্ষাতি কেনার ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগও সামনে এসেছে। পুরসভার স💙্কুলে শৌচাগার সংস্কার দুর্নীতি কাণ্ডে পুরসভার তিন আধিকারিককে শো-কজ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জও গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৭ থেকে ’২০ সালের মধ্যে কলকাতা পুরসভা অধীনস্থ ৫০ টি স্কুলের ৬৩টি শৌচাগার সংস্কার হয়। কিন্তু তদন্তে দেখা গিয়েছে, সেই কাজ নিয়ম মেনে হয়নি। স্কুলের উন্নয়ন কমিটিকে অন্ধকারে রেখে সমস্ত কাজ করা হয়েছিল। এমন কি কাজ চলাকালীন এবং শেষে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারের পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল। কোনও স্কুলেও তাঁরা যাননি বলে অভিযোগ। স্কুলের প্রধান শিক্ষকদেরও সই নকল করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে অন্য এক দুর্নীতির ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে, পুর স্কুলগুলির পড়ুয়াদের জন্য মেয়রকে না জানিয়ে প্রায় ৭৪ লক্ষ টাকার বর্ষাতি কেনা হয়। পুরসভা সূত্রে খবর, বর্ষাতি কেনার টাকা এসেছিল সর্বশিক্ষা মিশন থেকে। আর নিয়মে আছে, সর্বশিক্ষা মিশনের টাকা ཧখরচ করতে গেলে কলকাতা পুরসভার অর্থ দফতরের অনুমতি লাগে না। এই আবহে ব🐓ড় দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ।