নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ ক্রমেই বাড়ছে বামেদের বিরুদ্ধে। নাম জড়াচ্ছে একাধিক নেতাদের। সুজন চক্রবর্তী থেকে সুশান্ত ঘোষ—চিরকূটে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। এবার আর নাম প্রকাশ্যে আনতে ই–মেল আইডি খুলে কড়া পদক্ষেপ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার শাসকের নিশানায় সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ। তাঁর সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। এই সম্পত্তির হিসাব নিয়ে প্🌺রশ্ন তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। নথিপত্র টুইট করে তাঁর প্রশ্ন, সিপিএমের ‘হোলটাইমার’ হয়ে কী ভাবে এত দামি গাড়ি কিনলেন শতরূপ?
ঠিক কী টুইট করেছেন কুণাল? তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ একটি টুইটে লিখেছেন, ‘২০২১ সালের নির্বাচনী হলফনামায় শতরূপের সম্পত্তির হিসেব ২ লাখ টাকা। সেই শতরূপ কেমন করে ২২ লাখ টাকার গাড়ি কিনলেন? এক লপ্তেই সেই গাড়ির দাম মিটিয়েছেন তিনি।☂’ সিপিএমের একজন হোলটাইমার কীভাবে এত দামি একটি গাড়ি কিনলেন? প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে শতরূপের নি꧂র্বাচনী হলফনামার অংশ এবং গাড়ির রেজিস্ট্রেশন–সহ নথির ছবিও সেঁটে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ।
ঠিক কী বলছেন শতরূপ? এমন টুইট নিয়ে যখন রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড় হয়েছে তখন পাল্টা জবাব দি꧑🥀য়েছেন শতরূপ ঘোষও। তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির টাকায় সম্পত্তি করা হয়নি। গাড়ি কেনার টাকা বাবা দিয়েছেন এবং আইনত🥀 সব কাগজই রয়েছে। যে গাড়ির কথা বলা হচ্ছে, সেটি আমি জানুয়ারি মাসে কিনেছি। এই গাড়ির টাকা আমার বাবা নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের চেকে করেছেন। আমার বাবা–মা দু’জনেই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থায় কাজ করেছেন। বাবা চেকে এই গাড়ির টাকা দিয়েছেন। তার সব নথি আমার কাছে রয়েছে।’
আর কী জানা যাচ্ছে? জাতীয় নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় শতরূপ ঘোষ জানিয়েছিলেন, তাঁর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ২ লক্ষ টাকার কাছে। সেই হলফনামার ছবিও টুইটে প্রকাশ করেছেন কুণাল ঘোষ। এই ঘটনা নিয়ে আজ, মঙ্গলবার দুপুরে আলিমুদ্দিনে সাংবাদিক বৈঠকে আরও জবাব দেবেন শতরূপ বলে জানিয়েছেন। আর বলেন, ‘কেন্দ্রের যেমন আয়কর দফতর ও ইডি রয়েছে, তেমনই রাজ্যের হাতেও ইকোনমিক অফেন্স উইং বলে একটি সংস্থা রয়েছে। যদি কোথাও টাকা প⛄য়সা নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকে তাদের, তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ায় না বলে সেই সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করাতে পারে।’