বিজেপি দুর্গে ভাঙন ধরাতেই হাতে হাতে পুরষ্কার পেলেন মুকুল রায়। তাঁর বিরুদ্ধে বিধায়ক পদ খারিজের অভিযোগ যতই জমা করা হোক না কেন তাতে তেমন পাত্তা দিতে রাজি নন তিনি। উলটে বুধবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির সদস্যপদে মনো𝄹নয়ন জমা দিলেন মুকুল রায়। তারপর থেকে আরও প্রশ্ন উঠতে শুরু করল, তাহলে কী বিধায়ক পদ ছাড়বেন না মুকুল রায়? এই কমিটির চেয়ারম্যান কী তিনিই হতে চলেছেন?
কয়েকদিন আগেই শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভায় গিয়েছিলেন। সেখানে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের পক্ষে সওয়াল করেন। তারপর চিফ হুইপ মনোজ টিগ্গাকে দিয়ে বড় আকারে আবেদনপত্র জমা করেন। আর আজ পিএসি’র সদস্যপদের জন্য বিধানসভায় মনোনয়ন দাখিল করলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মুকুল রায়। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর থেকেই শোনা যাচ্ছে, পিএসি চেয়ারম্যান পদটি পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন তিনি। তিনি সম্ভবত এই কারণ💧েই বিধায়ক পদ ছাড়েননি বলে মনে করা হচ্ছে।
পিএসি চেয়ারম🌞্যান পদে বসার জন্য তেমন কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিও নেই তাঁর সামনে। বিধানসভায় মোট ৪১টি কমিটি রয়েছে। তার মধ্যে বিধানসভা কমিটি ১৫টি। আর স্ট্যান্ডিং কমিটির সংখ্যা ২৬। কিন্তু বিধানসভার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কমিটি এই পিএসি। মূলত বিরোধী দল থেকেই পিএসি চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়। তৃণমূল কংগ্রেসে মুকুল রায় যোগ দিলেও খাতায়-কলমে তিনি বিজেপির বিধায়কই। এই একই ঘটনার উদাহরণ দেখা রয়েছে অতীতেও। ২০১৬ সালের পর মানস ভুঁইয়া বা শঙ্কর সিংয়ের ক্ষেত্রে একই ধরনের নজির রয়েছে।