কেন নিজের বাড়ির সামনেই আক্র♑ান্ত হতে হল তৃণমূ🐼ল কংগ্রেস পরিচালিত কলকাতা পুরনিগমের ১০৮ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তথা কসবার স্থানীয় কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে?
এ নিয়ে পুলিশের তদন্ত যেমন এগোচ্ছে, তেমনই সুশান্ত ঘোষের রাজনৈতিক সহকর্মীরাও ঘটনার কাটাছেঁড়া শুরু করেছেন। আর সেটা করতে গিয়েই কার্যত 'নানা মুনির নানা মত'🍨 সামনে চলে এসেছে। অর্থাৎ, ꦰএই হামলার কারণ নিয়ে কলকাতা তথা রাজ্যের শাসকদলের অন্দরেই মতভেদ স্পষ্ট।
শাসকদলের নেতারা কেউ এই ঘটনার জন্য✅ সরাসরি পুলিশকে দুষছেন, কেউ আবার পুলিশের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কারও মতে, এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের অপদার্থতা সামনে চলে এসেছে!
প্রথমেই আসা 𒐪যাক কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কথায়। কলকাতা পুরনিগমে আয়োজিত একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘটনা নিয়ে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি।
মেয়রের বক্তব্য, তিনি বা সুশান্ত ঘোষ, কিংবা তাঁদের মতো যেকোন🔯ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি - আততায়ী বা দুষ্কৃতী ধরা, তাঁদের কাজ নয়। এই কাজ পুলিশℱের।
ফিরহাদ বলেন, অপরাধী ধরার কৌশল তাঁর মতো জনপ্রতিনিধিদের জানার কথা নয়। তাঁদের কাজ হল - মানুষকে সাধারণ নাগরিক পরিষেবাগুলি প্রদান ক🐻রা। অপরাধী পাকড়াও করা পুলিশের কাজ। এবং পুলিশকে সেই কাজ করতে হবে।
অর্থাৎ, তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকারের অধীনে থাকꦰা পুলিশবাহিনীকেই কসবা গুলি কাণ্ডের𒐪 জন্য সরাসরি দায়ী করেছেন মেয়র।
কিন্তু, ভিন্ন সুর শোনা গিয়েছে কলকাতা প𒐪ুরনিগমেরই মেয়র পারিষদ তথা দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দেবাশিস কুমারের গলায়। তাঁর বক্তব্য, এই ঘটনায় পুলিশের উপর দায় চা♏পানো ঠিক নয়। যদি সেটা কেউ করেন, তাহলে ঠিক করছেন না।
দেবাশিস একথা বলছেন, কারণ - তাঁর মনে হয়েছে, ঘটনার পর পুলিশ যেভাবে তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত ক🅠রে অভিযুক্ত সকলকে একে-একে পাকড়াও করেছে, বিশেষ করে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ঘটনার মূল চক্রীকে পর্যন্ত ধরে ফেলেছে, তা প্রশংসনীয় বলেই মনে করেন তিনি।
ফিরহাদ ও দেবাশিসের এই মতভেদ ছাপিয়ে গিয়েছেন আরও এক তৃণমূল নেতা তথা কলকাতা পুরনিগমের অন্যতম মেয়র 🃏পারিষদ সন্দীপন সাহা। তাঁর মতে, এই ঘটনার জন্য আদতে কেন্দ্রীয় সরকার, বিশেষত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দায়ী।
কেন একথা বলছেন তিনি? সন্দীপনের যুক্তি হল - এই ঘটনায় যুক্ত ব্যক্তিরা অন্য রাজ্য থেকে বাংলায় ঢুকে আক্রমণ চালিয়েছে। যেভাবে এক রাজ্যের দুষ্কৃতী সী𒁏মানা টপকে অন্য রাজ্যে গিয়ে অপরাধ সংগঠিত করছে, তাতে ক🍃েন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা রয়েছে বলে মনে করছেন সন্দীপন।
🗹ভিনরাজ্যের অপরাধী সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে অবশ্য ফিরহাদ হাকিমও শনিবারের সাংবাদিক সম্মেলনে সরব হয়েছেন। তবে, তাঁর বক্তব্য কলকাতা তথা বাংলার পুলিশকেই এই ধরনের দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করতে হবে।