আজ, ১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে তাঁর বাসভবন সিমলা স্ট্রিটে আসেন অনেকেই। শ্রদ্ধা জানাতে আসেন নানা গুণী মানুষ থেকে রাজনীতিবিদ। তাই এখানে সকালে এসে হাজির হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপর তিনি চলে যেতেই প্রত্যেক বছরের মতো এই বছরও আসেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, শুক্রবার বিকেল নাগাদ সেখানে যান অভিষেক। সিমলা স্ট্রিটের বিবেকানন্দ বাসভবনের দায়ি🌃ত্বপ্রাপ্ত মহারাজরা তাঁকে স্বাগত জানান। এখানে এসে অভিষেক বার্তাও দেন এবং পরামর্শও দেন। তবে কারও নাম করেননি।
এদিকে এখানে এসে অভিষেক মহারাজদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারপর স্বামীজিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বেরিয়ে ꦺআসেন। তখন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। নানা প্রশ্ন করতেই অভিষেকের বার্তা, ‘আমি কোনওরকম কোনও রাজনৈতিক কথা বলব না। আমি কোনওদিন স্বামীজির বাড়িতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসে কোনও রাজনৈতিক কথাবার্তা বলি না। কারণ এটা অশোভনীয়, অসমীচীন এবং অত্যন্ত দৃষ্টিকটূ। কেউ যদি এসে কোনওরকম রাজনৈতিক কথা বলে, এটা তাঁর রুচি, শিক্ষার পরিচয়।’ অর্থাৎ আর যাঁরা এসে রাজনৈতিক মন্তব্য করেন বা করেছেন তাঁদের একটা ꧋বার্তা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে বর্ষীয়ান মহারাজ অভিষেককে আশীর্বাদ করেন। আর বলেন, ‘তুমি আরও অনেক বড় হও। তোমার থেকে আরও অনেক কিছু চাইব।’ সিমলা স্ট্রিটে বিবেকানন্দের বিরাট উচ্চতার মূর্তিতে মাল্যদান করে যুগনায়কের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর তিনি বর্ষীয়ান মহারাজকে শাল ও পুষ্পস্তবক দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। তাꦏঁকেও পালটা উত্তরীয় পরিয়ে আশীর্বাদ করেন মহারাজ। আজ ঘড়িতে তখন ৩টে। সিমলা স্ট্রিটে পৌঁছন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা, সাংসদ শান্তনু সেন। পৈতৃক বাড়ির সামনে স্বামীজির মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন 🧸অভিষেক।
আরও পড়ুন: পায়ে শীতকালে🌞 জুতো নেই কেন? বাঁকুড়া–পুরুলিয়ার একাধিক স্কুলে ঘুরে প্রশ্ন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের
এছাড়া নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে পরামর্শও দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে শুভেন্দু অধিকারী এসে ইডির তল্লাশি নিয়ে বলেছেন, ‘এসব তো হওয়ারই ছিল। সিবিআই আগে থেকে কোনও তথ্য পে💧লে তবেই ইডিকে তল্লাশিতে পাঠায়। এঁদের সবার কাছেই কোনও না কোনও গোপন ব্যাপার আছে। তাই ইডি অভিযান চালিয়েছে। ব্যাগ গোছান, শীতের পোশাক সঙ্গে নিন।’ পাল্টা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে পরামর্শ, ‘সকলকে শুভেচ্ছা। প্রত্যেকবার আমি স্বামীজির বাড়িতে আসি। আগামী দিন যেন সকলের ভাল কাটে। তাঁর মতাদর্শ যেন সকলে মেনে চলেন। কোনও রাজনৈতিক কথা বলব না। কেউ যদি এসে কোনওরকম রাজনৈতিক কথা বলে, সেটা তাঁর রুচি, শিক্ষার পরিচয়।’