🦩 মৌনি অমবস্যায় অমৃতস্নান করতে গিয়ে কুম্ভমেলায় পদপিষ্ট হয়ে বিপুল মানুষ মারা গিয়েছেন। এই ঘটনা নিয়ে গোটা দেশে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। সরকারিভাবে অবশ্য মৃতের সংখ্যা বলা হচ্ছে ৩০। তবে স্টিং অপারেশনের বেরিয়ে এসেছে সংখ্যাটা অনেক। যদিও এই স্টিং অপারেশন যাচাই করে দেখেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল। আসল সংখ্যাটা যে আরও বেশি তা অন্যান্য সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সম্প্রচার করেছে। তবে সংখ্যা ১০০ পেরিয়ে গেলেও অস্বাভাবিক কিছু নেই বলে দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতের সংখ্যা গোপন করা হচ্ছে বলে নয়াদিল্লি যাওয়ার আগে দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে বিঁধলেন তিনি।
ꩵএদিকে মহাকুম্ভের মহাবিশৃঙ্খলায় যে মানুষের প্রাণ গিয়েছে সেটা মনে করছেন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আজ, শুক্রবার ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ বলেন, ‘খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। নিহতের সংখ্যা ১০০ পেরিয়ে গেলেও অস্বাভাবিকের কিছু নেই। কখনও বলছে ৩০ জন। তখনও বলছে ৪০ জন। মহাকুম্ভে কমপক্ষে ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা গোপন করার চেষ্টা চলছে। গরিব মানুষের জন্য কোনও ব্যবস্থা নেই। বিজেপি বিরোধী রাজ্য বাংলা, তামিলনাড়ু–সহ রাজ্যে এমন ঘটনা ঘটলে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি উঠত। বড় বড় উদ্যোগপতিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। তাদের খাতির করে নিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন।’
আরও পড়ুন: ‘মোদী সরকারের আমলে গরিবরা আরও গরিব হয়েছে’, বাজেটের আগে আক্রমণে অভিষেক
অন্যদিকে এই ঘটনার পরই আক্রমণ শাণিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গঙ্গাসাগর মেলার সাফল্যকে তুলে ধরেছিলেন। অভিষেকও আজ সেই পথে হেঁটেই পরিকল্পনার অভাবে মহাকুম্ভে এই মৃত্যুমিছিল হয়েছে বলে তোপ দাগেন যোগী আদিত্যনাথের সরকারের বিরুদ্ধে। অভিষেকের বক্তব্য,🧜 ‘আসলে প্রস্তুতি কম, ব্যবস্থাপনা বেশি। শুধু ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচারই করা হয়েছে। তার জেরেই এত বড় দুর্ঘটনা ঘটে গেল। এই ঘটনা যদি বিজেপি বিরোধী রাজ্য, যেমন বাংলা অথবা তামিলনাড়ুতে ঘটত তাহলে তো এতদিনে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কথা বলা হতো। মহাকুম্ভের বিপর্যয় অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি আশা করব এই ঘটনা থেকে যেন শিক্ষা নেয় বিজেপি। আসলে বিজেপি কোনও ঘটনা থেকে শিক্ষা নেয় না। ভাবে দেশটাকে কিনে রেখেছি।’
এছাড়া প্রশাসনিক এত বড় গাফিলতির বিষয়টিকে সামনে রেখে অভিষেক পরোক্ষে প্রশ্ন তুলেছেন, এই বৃহৎ দুর্ঘটনার পরও কেন যোগী রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হবে না? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়,🔯 ‘মানুষ জীবদ্দশায় একবারই কুম্ভমেলায় যায়। অথচ সেখানে গরিব মানুষের জন্য কোনও ব্যবস্থা নেই। সবকিছু নেতা আর বড়লোকদের জন্য। তাদের জন্য রাস্তা পর্যন্ত খালি করে দেওয়া হচ্ছে। আমরাও তো এখানে গঙ্গাসাগর মেলা করছি। ১৪ বছরের সরকার। এখানে শুরু থেকেই মানুষের নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হয়। মহাকুম্ভে এত মানুষ যখন যাবে, তখন মিনিমাম ব্যবস্থাপনা দরকার ছিল। এখানে পরিকল্পনা কম।’