ট্র্যাফিক সিগন্যাল বা ট্র্যাফিক আইন সাধারণ মানুষ লঙ্ঘন করলে শাস্তি, জরিমানা–সহ নানা বিষয় করা হয়। কিন্তু ট্র্যাফিক আইন যদি পুলিশ ভাঙে তাহলে কী হবে? পুলিশের গাড়ি বলে কী সাত খুন মাফ? শহরের বুকে এমন নানা ঘটনা উঠে আসায় প্রশ্ন উঠেছে। তাই এবার নড়েচড়ে বসেছে লালবাজার। তারপরই পুলিশের উপর♔তলা থেকে কড়া ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ট্র্যাফিক আইন লঙ্ঘন করলে রেয়াত করা হবে না পুলিশকর্মীদেরও। এই নির্দেশ জারি হতেই লালবাজারে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে। লালবাজারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই এই বার্তা পাঠানো হয়েছে কলকাতা পুলিশের সমস্ত ট্র্যাফিক গার্ডে। ডিসি (ট্র্যা🏅ফিক)–এর পক্ষ থেকে এই নির্দেশ জারি হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছিল, শহরের রাস্তায় অনেক সময়ই পুলিশের গাড়ি কিংবা পুলিশকর্মীরা ট্র্যাফিক আইনের ধার ধা꧑রেন না। ট্র্যাফিক আইন ভাঙলেও, তাঁদের বিরুদ্ধে কেউ ব্যবস্থা নেয় না। মোটরবাইক বা গাড়িতে ‘পুলিশ’ লেখা আছে বলেই তাঁরা ট্র্যাফিক আইন অমান্য করার সাহস দেখায়। আর রাতের শহরে পুলিশের গাড়ি যেন রেসিং কার। এই বিষয়ে নানা অভিযোগ জমা পড়ছিল লালবাজারে। এবার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলো।
পুলিশবাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতেই এমন পদক্ষেপ? এই প্রশ্নও উঠেছে। লালবাজার সূত্রে খবর, এই অভিযোগগুলির প্রেক্ষিতেই কড়া পদক্ষেপ করতে হয়েছে। ট্র্যাফিক আইন মেনে চলার ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে পুলিশকেও বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লালবাজারের ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, কো🐟নও পুলিশকর্মী বা পুলিশের গাড়ি ট্র্যাফিক আইন লঙ্ঘন করলে সঙ্গে সঙ্গে চালালে ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই রিজেন্ট পার্ক ট্র্যাফিক গার্ডের এক অফিসার ‘পুলিশ’ লেখা একটি মোটরবাইক আটক করেছিলেন। চালকের মাথায় হেলমেট ছিল না। পরে জানা যায়, ওই মোটরবাইক আরোহ𒁃ী ভুয়ো পুলিশ। তখন পরে তাকে গ্রেফতার করে রিজেন্ট পার্ক থানা। উড়ালপুলেও পুলিশ ট্র্যাফিক আইন লঙ্ঘন করে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। সব মিলিয়ে এবার কড়া পুলিশও।