বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি নিয়ে ঘরে–বাইরে সমস্যায় পড়েছে বিজেপি। তার সঙ্গে চেয়ারম্🐈যান মনোনয়ন নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে স্নায়ুযুদ্ধ। পিএসি–তে মুকুল রায়ের মনোনয়ন গৃহীত হল কেন? এই নিয়ে এবার আপত্তি তুলে বিধানসভার সচিবকে চিঠি পাঠালেন বিজেপির দুই বিধায়ক। বিজেপি ইতিমধ্যেই ওই পদে তাঁদের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত ৬ জনের নাম জমা দিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নাম জমা দেওয়া হয়েছে ১৪ জনের। ২০টি নাম জমা পড়ার পর𝓰 বৃহস্পতিবার স্ক্রুটিনি পর্ব চলাকালীন এই চিঠি জমা পড়ে। আর তাতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল রায়কেই সমর্থনের কথা জানিয়ে দেন নবান্ন থেকে। তাতেই মৌচাকে ঢিল পড়ার মতো অবস্থা। তারপরই এই চিঠি দিয়েছেন কল্যাণী ও কার্শিয়ঙের বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় এবং বিষ্ণুপদ শর্মা। কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়ের পিএসি সদস্যপদের মনোনয়নকে বেআইনি বলে দাবি করা হয়েছে চিঠিতে। এমনকী চিঠিতে সরাসরি জানতে চাওয়া হয়েছে, মুকুল রায় কোন দলের বিধায়ক? বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ১৬ জুলাই মুকুলের পিএসি’র সদস্যপদ নিয়ে বিধানসভায় শুনানি ডেকেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি নিজে উপস্থিত থাকবেন। তাতে লাভ না হলে নির্দিষ্ট সময়ে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন। বিধানসভা কর্তৃপক্ষকে স্পষ্ট করতে হবে মুকুল রায় কো🌌ন দলের বিধায়ক, না হলে মনোনয়ন বাতিল করার দাবি তোলা হয়েছে।
বিজেপির বক্তব্য, তাদের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ৬ বিধায়কের নাম জমা ꦉদেওয়া হয়েছে। মুকুল রায় এখনও খাতায় কলমে বিজেপির বিধায়ক। বিজেপি যদি মুকুলের নাম প্রস্তাব না করে, তাহলে সেই নাম জমা পড়ল কীভাবে? এই প্রশ্ন তুলেই বিধানসভার সচিবকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপির দুই বিধায়ক। পিএসি’র সদস্যপদে মুকুল রায়ের মনোনয়ন জমা দেওয়ার বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মনোনয়ন যে কেউ জমা দিতে পারেন। যিনি জমা দিয়েছেন, মুকুল রায়, তিনি তো বিজেপির সদস্য। তাঁকে বিনয় তামাংরাও সমর্থন করেছেন। ভোটাভুটি হলে হবে, দেখি কার কত ক্ষমতা।’ এই চিঠির ফলে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগের যে দাবি বিজেপি লাগাতার তুলছে, তা আরও জোরালো হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।