সনাতনীদের ব𓆉িশ্বাসে যারা আঘাত করছেন তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ না করলে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু সমাজ পথে নামবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে এই ভাষাতেই হুঁশিয়ারি দিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পূর্ব ক্ষেত্র সম্পাদক আমিয় সরকার। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে অবিলম্বে মহুয়া মৈত্র ও ত্বহা সিদ্দিকির বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে প্রকাশিত♚ ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘নূপুর শর্মার গ্রেফতারি নিয়ে আপনার ও আপনার দলের তৎপরতা আমরা দেখেছি। আপনি একজন হিন্দু হয়েও একজন সনাতনী হিন্দু নারীকে গ্রেফতার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আপনার মনে রাখা উচিত ছিল, সময়ের চাকা ঘুরতে সময় লাগে না।’
এর পরই মহুয়া মৈত্রের প্রসঙ্গ অবতারণা করে লেখা হয়েছে, 'আপনার দলের একজন প্রসিদ্ধ প্রবক্তা তথা লোকসভার সদস্য মহুয়া মৈত্র হিন্দু বিশ্বাসীদের ভাবাবেগকে আহত ক💖রেছেন। আমাদের আরাধ্য দ꧅েবী মা কালিকাকে অপমানিত করে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন’।
একই সঙ্গে ত্বহা সিদ্দিকির মন্তব্যের প্রসঙ্গও অবতারণা করেছেন তিনি। 🔯লিখেছেন, ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজন বরিষ্ঠ খ্যাতিনামা পির সাহেব পিরজাদা ত্বহা ✨সিদ্দিকি হিন্দুদের ভাবাবেগ আঘাত করেছেন এবং আমাদের আরাধ্য দেব দেবাদিদেব মহাদেবের নামে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তাঁরও গ্রেফতার পরোয়ানা জারি করিবার দাবি জানাচ্ছি’।
তাঁর 🌊দাবি, 'পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে করজোড়ে অনুরোধ করছি ভারতীয় সংবিধানের গরিমা বজায় রেখে রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের এই ২ ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়েরের নির্দেশ দিন। এই দুই ব্যক্তিত্বকে গ্রেফতার যদি করে কারাগারে নিক্ষেপ না করেন তবে সনাতনী সমাজ আপনার প্রতি বিশ্বাস হা☂রাবে। পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য নষ্ট হবে’।
এর পরই হুঁশিয়ারি দিয়ে অমিয়বাবু লিখেছেন,'আপনি যদি নীরব দর্শক হয়ে বসে থাকেন তাহলে আপামর জনসাধারণ ও পশ্চিমবঙ্গেﷺর সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সমাজ রাস্তায় নেমে তীব্র আন্দোলন শুরু করবে’।
সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, 'যদি আপনার পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হয় তাহলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতৃত্বে গোটা রাজ্যে বিভিন্ন থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করবে। চিঠির শেষে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে হুঁশিয়ারি🦄 দিয়ে বলা হয়েছে, শুরু যারাই করুক শেষ কথা কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সমাজই বলবে'।