বর্ধমান স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক বিপর্যয়ের পাঁচদিনের মাথায় যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মনে পড়ল পূর্ব রেলের। এখন তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্টেশনে এবং প্ল্যাটফর্মে যে জলের ট্যাঙ্ক আরও আছে সেগুলি বౠদলে ফেলবে। ইতিমধ্যেই বর্ধমানের সেই বিপর্যয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা 🦂আগেই ঘোষণা করেছিল পূর্ব রেল। এবার জলের ট্যাঙ্কগুলি পরিবর্তনের কথা ভাবল তারা। বর্ধমান স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক বিপর্যয়ের পর এটা বড় সিদ্ধান্ত পূর্ব রেলের। লোহার জলের ট্যাঙ্ক এবং পুরনো সিমেন্টের ট্যাঙ্ক এবার বদলের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে রেল সূত্রে খবর, পূর্ব রেলের স্টেশন চত্বর এবং প্ল্যাটফর্ম চত্বরে থাকা জলের ট্যাঙ্কগুলিকে ভাঙার কাজ শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। তিনটি ডিভিশনে মোট ১২টি জলের ট্যাঙ্ক রয়েছে প্ল্যাটফর্মে। হাওড়া ডিভিশনে ৩টি, আসানসোল ডিভিশনে ৮টি, এবং মালদা ডিভিশনে ১টি রয়েছে। এমনকী স্টেশন চত্বরে থাকা ৪৮টি জলের ট্যাঙ্কও ভেঙে ফেলা হবে বলে আজ, সোমবার সিদ্ধান্ত নিয়ে ঘোষণা করা হয়েছে। যার মধ্যে শিয়ালদা ৭টি, আসানসোল ২৩টি, হাওড়া ১৪টি, মালদায় ৪টি আছে। 🧸আগামী এক বছরের মধ্যেই এই সব জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে ফেলা হবে। যতক্ষণ না এগুলি সব ভাঙা হচ্ছে ততক্ষণ ট্যাঙ্কগুলিতে কম জল ভরা হবে।
অন্যদিকে এই সিদ্ধান্ত আরও আগে নেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করছেন যাত্রীরা। কারণ তাহলে এই দিনটি দেখতে হতো না। আর চারজন মানুষের প্রাণ যেত না। তবে এবার পূর্ব রেল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে ট্যাঙ্কগুলি আছে সেগুলিতে দরকার হলে দিনে দু’বার জল ভর্তি করা হবে। তাছাড়া কোনওরকম রক্ষণাবেক্ষণের দরকার আছে কি না সেটা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। বেশ কিছু জলের ট্যাঙ্ককে চিহ্নিত করা হয়েছে। পরে ধাপে ধাপে সেগুলিকেও ভাঙবে রেল। বহু ট্যাঙ্কের ৬০ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে। সেগুলির রক্ষণাবেক💙্ষণে বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কত টাকা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গꦿুলি? রাজ্যপালের নির্দেশের জেরে🐻 জবাব তলব করল বিকাশ ভবন
পাঁচ♏দিন আগেই বর্ধমান স্টেশনের ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে থাকা একটি জলের ট্যাঙ্ক 𒐪আচমকা ভেঙে পড়ে। ১৮৯০ সালে এই ট্যাঙ্কটি তৈরি হয়েছিল বলে খবর। আর তার জেরে বহু মানুষ আহত হন। আর চারজনের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। এই ঘটনার প্রায় পাঁচদিন পর এমন সিদ্ধান্ত নিল রেল। শুধু বর্ধমান স্টেশনেই নয়, এমন একাধিক রেল স্টেশন রয়েছে যা কিনা ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয়েছিল। জলের ট্যাঙ্কগুলি এখনও পরিষেবা দিচ্ছে। তবে বর্ধমানের ঘটনা চাপে ফেলে দিয়েছে রেলকে। এই বিষয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘ইতিমধ্যেই জলের ট্যাঙ্কগুলি ভেঙে ফেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক বছরের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে। তবে এখন রোজকার পর্যবেক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ চলবে।’