মিড–ডে মিলের রান্না করার জল মিলছে না বলে অভিযোগ। আর এই জল না পাওয়ার জন্য দায়ী পূর্ত দফতর। কারণ পূর্ত দফতরের অধীনে থাকা বহু রিভার্স অসমোসিস প্লান্ট খারাপ 🌼হয়ে পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ। আর এই খারাপ হয়ে থাকায় স্কুলে মিড–ডে🐠 মিল রান্না করার জল পাওয়া যাচ্ছে না বলে বিধানসভায় অভিযোগ করলেন হিঙ্গলগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল। বিধায়কের এই অভিযোগ শুনে বিভাগীয় মন্ত্রী পুলক রায় খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেন। আর দ্রুত তা মেরামত করার নির্দেশ দেন।
শিশুরা স্কুলে গিয়ে মিড–ডে মিল পান। কিন্তু খাবার তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় জল না পেলে রান্না করতে অসুবিধায় পড়তে হয়। তখন অন্য জায়গা থেকে জল টেনে আনতে হয়। যা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য কাজ। রাজ্যের একাধিক স্কুলে পূর্ত দফতরের অধীনে ৫৫টি রিভার্স অসমোসিস প্লান্ট রয়েছে। এমনকী বহু জেলা পরিষদের অধীনে ৪৩টি এমন প্লান্ট আছে। যার মাধ্যমে জল পেয়ে থাকে স্কুলগুলি। এই প্লান্টের জলই স্কুলে মিড–ডে মিল রান্নার কাজে লাগে। শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট এলাকার 💖স্থানীয় বাসিন্দারাও এই জল ব্যবহার করে থাকেন।
আরও পড়ুন: ট্যাব কাণ্ড থেকে শিক্ষা, জালিয়াতি রুখতে নয়া আইনের প্রস্তাব মমতার, বিধানসভায় ঘোষণা
সেখানে হঠাৎ প্লান্টগুলি খারাপ হয়ে যাওয়ায় নানা জেলায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে মিড–ডে মিলের রান্নায়। এই বিষয়টি বিধানসভায় গতকাল বুধবার তুলে ধরেন বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল। তাঁর অভিযোগ, ‘একাধিক প্লান্ট খারাপ থাকার জেরে স্কুলে মিড–ডে মিলের রান্না করতে সমস্যা হচ্ছে। অন্য জায়গা থেকে জল নিয়ে আসতে হচ্ছে।’ এই অভিযোগ শুনে মন্ত্রী পুলক রায় বলেন, ‘জেলা পরিষদের অধীনে থাকা রিভার্স অসমোসিস প্লান্ট খারাপ থাকতে পারে। কিন্তু পূর্ত দফতরের অধীনে থাকা কোনও প্লান্ট খারাপ নেই।’ তখন হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়কের বক্তব্য, ‘আমার বিধা𓆉নসভার দক্ষিণ ভাণ্ডারখালিতে যে প্রাথমিক স্কুল রয়েছে সে☂খানেও প্লান্ট খারাপ। এই প্লান্ট পূর্ত দফতরের অধীনেই আছে।’
বিধায়ক এবং পূর্তমন্ত্রীর কথোপকথন শোনেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তখনই অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি খতিয়ে দেখার পরামর্শ দেন। বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন সেদিনের মতো শেষ হওয়ার পর বিধানসভার লবিতে দেবেশ মণ্ডলের কথায়, ‘ওই রিভার্স অসমোসিস প্লান্ট খারাপ থাকার কারণে টিউবওয়েলের জল এনে 📖মিড–ডে মিলের রান্না করতে হচ্ছে। ওই এলাকার বহু মানুষ রিভার্স অসমোসিস প্লান্টের জলের উপরেই নির্ভরশীল। তাঁরাও সমস্যায় পড়ছেন।’ রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই বাড়ি বাড়ি নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত ৫৩ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে বলে বিধানসভায় জানান পূর্তমন্ত্রী। বাকি কাজ ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে।