এখন রাজ্য বিধানসভায় চলছে শীতকালীন অধিবেশন। সেখানে প্রধান বিরোধী দল বিশেষ জায়গা করতে পারছে না। কারণ একদিকে বিধায়ক সংখ্যা কমেছে বিজেপির। অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যাও বেড়েছে এবং ওয়াকফ–সহ নানা ইস্যু তুলে ধরে সরগরম করে রেখেছে বিধানসভার অধিবেশন। এই আবহে বিজেপিকে ওয়াকআউট করতে হচ্ছে। আর তা না হলে অনুপস্থিত থাকছেন বিধায়করা। তবে আগামী ৬ ডিসেম্বর বিধা🐠নসভার অধিবেশন বন্ধ থাকবে। এই সিদ্ধান্ত জানার পর বিতর্কিত প♏্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা জবাব দিলেন পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
আজ, মঙ্গলবার বিধানসভার বিই (বিজনেস এক্সিকিউটিভ) ♐কমিটির বৈঠক ছিল। আর সেখানেই আগামী ৬ ডিসেম্বর বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। কারণ ওই দিন বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা ঘটেছিল। গোটা দেশের কাছে সেটা একটা কালো দিন। সর্বধর্ম সমন্বয় রক্ষা করে চলার কথা বলা আছে সংবিধানে। তাই সেদিন সম্প্রীতির রক্ষার কথা ভেবে অধিবেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই কথা জা♕নতে পেরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তোলেন, ‘কেন অধিবেশন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে? কেউ কি মারা গিয়েছেন?’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য বন্ধ মালদার হোটেল, বড় সিদ্ধান্ত নিলেন মালিকরা, কেন?
এই মন্তব্য নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। যদিও বিজেপির বিধায়ক যাঁরা তাঁরা বিরোধী দলনেতাকে সমর্থন করেছেন। তাতে আগুনে যেন ঘি পড়েছে। কারণ এমন একটা দিনের বিষয়ে এধরণের মন্তব্য যথেষ্ট বেমানান। শুভেন্দু অধিকারীর প্রশ্নের পর বিজেপি বিধায়করা কক্ষে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তুলে শোরগোল ফেলে দেন। এই নিয়ে সাংবাদিকরা রাজ্যের পরিষদীয়মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন। পাল্টা জবাবে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘যাঁরা বিএ কমিটির বৈঠকে আসেন ন🐠া, তাঁদের কথার কী জবাব দেব?’
এই বিষয়ে আগে থেকেই বলা হয়েছিল। তারপর সেটা আলোচনা হয় বিএ কমিটির বৈঠকে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেসব কিছু না জেনে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্যের বিরোধিতা করে শুভেন্দু–সহ বিজেপি বিধায়কদের বলতে শোনা যায়, কী কারণে অধিবেশন বন্ধ থাকবে সেটা তো বলতে হবে। সেখানে পাল্টা হিসেবে শোভনদেববাবুও নিজের বক্তব্যে অনড় থাকেন। আর রাজ্যের ডাকা প্রত্যেকটি বৈঠক বয়কট করে বিরোধী দল। এমনই অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। দু’পক্ষ এই বিষয়ে নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকায় আজ বিধানসভার মধ্যে তুমুল হই–হট্টগোলও শুরু হয়ে যায়। ওয়কফ নিয়ে আজ বি🅠ধানসভায় আলোচনা শুরু হয়েছিল। তখনই এই প্রশ্ন করেন বিরোধী দলনেতা।