আজ, মঙ্গলবার দুর্গাপুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্🌜🍰যোপাধ্যায়। সেখানেই ভিড় নিয়ে নানা কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তখনই নিজের মন্ত্রী সুজিত বসুকে কড়া হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এছাড়া অন্যান্য পুজো কমিটি যাদের ভিড়ের জেরে রাস্তা জ্যাম হয় এবং মানুষের সমস্যা হয় তাদেরকে সতর্ক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা না শুনলে ‘ব্ল্যাকলিস্ট’ করার হুঁশিয়ারিও দেন মুখ্যমন্ত্রী। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিকে গতবছরও দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুকে সতর্ক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, মানুষের অসুবিধা হলে তিনি ঘ্যাচাং ফুঁ করে দেবেন। আর এবার মুখ্যমন্ত্রী নেতাজি ইন্ডোর স্ট𓆏েডিয়ামের মঞ্চ থেকে বলেন, ‘সুজিতের শ্রীভূমির পুজোর জন্য এয়ারপোর্টের রাস্তা পুরো জ্যাম হয়ে যায়। উত্তর কলকাতার কিছু বিশেষ পুজোর জেরেও এমনটা হয়ে থাকে। এরকম সমস্যা তৈরি হলে সংশ্লিষ্ট পুজোগুলিকে ব্ল্যাকলিস্টেড করে দেওয়া হতে পারে।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারির পর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ সুজিত বসুর শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের দুর্গাপুজো যেমন জনপ্রিয় তেমন ভিড় হয় তা দেখার জন্য। তাতে রাস্তাঘাটে যানজট তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করছেন এমকে 💦স্ট্যালিন, কেন এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন✤?
অন্যদিকে শ্রীভূমির দুর্গাপুজোর ভিড় নিয়ে অভিযোগ প্রত্যেক বছরই শুনতে হয় মমতা বন্দ😼্যোপাধ্যায়কে। কখনও লেজার লাইটের জন্য বিমানের ওঠা–নামায় অসুবিধা, আর কখনও ওই পথ দিয়ে যদি কেউ দুর্গাপুজোর সময় এয়ারপোর্ট পৌঁছতে চান তাহলে তাঁর ফ্লাইট মিস করার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। উল্টোডাঙা থেকে শুরু করে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত পথ অবরুদ্ধ হয়ে যায় দুর্গাপুজোর সময়। এবারতাই আগে থেকে সতর্ক করলেন 𒆙সুজিত বসুকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বছর ক্লাবগুলিকে ৭০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হবে। পরের বছর এই টাকা বাড়িয়ে এক লক্ষ করে দেবেন বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফায়ার এবং বিদ্যুতে ছাড়ের কথাও ঘোষণা করেন তিনি।
এছাড়া দুর্গাপুজোর সময় অনেক বেশি সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজো কমিটিগুলিকে এবং পুলিশ প্রশাসনকে কিছু নির্দেশও দিয়েছেন। যাতে মানুষের সমস্যা না হয়। পুজোমণ্ডপ নিয়েও নানা কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘এখন দুর্গাপুজোর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বাংলাꩲতেই এবার ৪৩ হাজারের বেশি পুজো হচ্ছে। দুর্গাপুজোয় যাতে কোনও অঘটন না ঘটে রাজ্য সরকার সহযোগিতা করবে। ক্লাবগুলিরও সহযোগিতা আশা করি। ট্রাফিক মুভমেন্ট ঠিক রাখতে হবে। মহালয়ার আগে থেকে আমিই পুজোগুলি উদ্বোধন করে দিই, সকলে বেরিয়ে পড়ে আনন্দ করেন। দুর্গাপুজোকে নিরাপদ করতে হবে সকলের সহযোগিতায়।’