আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্য বাজেট পেশ হয় বিধানসভায়। আর সেখানে যে একাধিক সামাজিক প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে এবং মানুষের স্বার্থে জনমোহিনী বাজেট পেশ করা হয়েছে তাতে চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি। কিন্তু হট্টগোল করতে ছাড়েনি। তাই রাজ্য বাজেট শেষের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন। হট্টগোলের মধ্যেই আজ বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছিল। রাজ্য সঙ্গীত শুরু হতেই বিজেপি জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দেন, ‘এটা বিꦅজেপির পার্টি অফিস নয়।’ বা꧙জেট শেষের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। আর দাবি করেন, ‘বাংলার সরকার দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে এগিয়ে যেতে হয়।’
এদিকে বিধানসভায় বাজেট পেশের পর সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে, ‘আজকে যে বাজেট করা হয়েছে, এটা তো চমকে যাওয়ার মতো বাজেট। দেশ ঋণের বোঝায় ডুবে রয়েছে। আর বিজেপি একতরফাভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু বাংলার সরকার মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে শুরু করে একাধিক প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। আর্থিক বৈষম্য থাকলেও মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করিনি।’ বিধানসভার অন্দরে বাজেট পেশের সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাজেট আপনাদের কেন্দ্রেও পেশ করে। আমরাও করছি। বাজেটের মাঝে এরকম কেন করছেন? তাহলে কি আপনারা ভয় পাচ্🅷ছেন? যদি বাজেট পেশ করতে না দেন, তাহলে সংসদেও প্রতিবাদ হবে।’
অন্যদিকে এদিকে বাজেট পেশ করার পর বিধানসভায় নিজের ঘরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তাঁর বক্তব্য, ‘এত আর্থিক সংকটের মধ্যেও দেশ যখন ডুবে আছে ঋণের বোঝায়, দেশে যেখানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, ওষুধে কেন্দ্রীয় সরকারের অপদার্থতার ফলে ১০ শতাংশের বেশি বেড়ে গিয়েছে। সেখানে বাংলার মা–মাটি–মানুষের সরকার তাঁরা দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে এগিয়ে যেতে হয়। কী করে কাজ করতে হয়। কী করে মানুষের কথা ভাবতে হয়। চিন্তাশক্তি থ🃏াকতে হয়, ভাবতে হয়। শুধু অকথা, কুকথা, মিথ্যে বলে, কুৎসা 🎃করে, অপপ্রচার করে আর ভাগাভাগির রাজনীতি করে উন্নয়ন হয় না।’
আরও পড়ুন: ‘দ্বিতীয়বারের জন্য হুগলি থেকে নিশ্চয়ই লড়ব’, নিজেই নিজের নাম ঘোষ🃏ণা করলেন লকেট
এছাড়া সাংবাদিক বৈঠকের পরতে পরতে বিজেপিকে ধাক্কা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘১০০ দিনের কাজ করে যাঁরা মজুরি পাননি, সেই ২১ লক্ষ কর্মীকে টাকা দেবে রাজ্য সরকার। ১৫৭টা দল পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এটাকে অনুಌমোদন দিয়েছিল। তাঁদের কাছে চিঠিও চলে গিয়েছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত সে টাকা তারা পায়নি। আমরা বাজেটে সেই সংস্থান রেখেছি। আমরা একমাস পর্যন্ত অপেক্ষা করব। তার মধ্যে কে🅰ন্দ্রীয় সরকার যদি টাকা ছাড়ে, ভাল। যদি না ছাড়ে, তাহলে ১ মে থেকে এই ১১ লক্ষ বাড়ির টাকা আমরা ছাড়ব। আজ পর্যন্ত এমন হয়নি যে, কোনও সরকারি কর্মচারী ১ তারিখে মাইনে পায়নি। আমাদের সরকার আসার পর থেকে এমন হয়নি যে, শিক্ষক–শিক্ষিকা মাইনে পায়নি। বাম আমলে ১৫ দিন, ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও টাকা পেত না।’