আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তার পর থেকে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে নেমেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। একাধিক দাবি তুলেছেন তাঁরা। যার ৯৯ শতাংশ মেনে নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যম💙ন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা এবার আঁটোসাঁটো করতে উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।🔜 সেই মতো কাজও শুরু হয়েছে। যার তথ্য সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়েছে। এবার রাজ্যের প্রত্যেকটি সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা সংক্রান্ত খুঁটিনাটি জানতে চেয়ে অডিট রিপোর্ট চাইল রাজ্য সরকার। এই আবহে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাসভবনে জরুরি বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের সঙ্গে।
এদিকে একঘণ্টা ধরে চলে জরুরি বৈঠক। এই অচলাবস্থা কাটাতেই এমন বৈঠক বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে যে কাজ হয়েছে তা জানতে মুখ্যসচিব এবং স্বাস্থ্যসচিবকে নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সব কাজ হয়ে যাওয়ার কথা। তেমনই কথা দেওয়া রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আর এই বৈঠকের পরই আগামীকাল🍒 শুক্🎐রবার রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিকে নিয়ে নবান্নে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে আছে বিশেষ অডিট কমিটি। ওই কমিটির পক্ষ থেকেও প্রতিটি জেলার জেল শাসক ও পুলিশ সুপারকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ অক্টোবর তারিখের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট রাজ্যের কাছে পাঠাতে হবে।
আরও পড়ুন: ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতেই মারধর করা হল আইনজীবীকে, আদালত চত্বরে তপ্ত বাতাবরণ
অন্যদিকে জুনিয়র ডাক্তাররা প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে পাঁচ দফা দাবি করেন। যার মধ্যে চারটি দাবি সঙ্গে সঙ্গে পূরণ করা হয়। তারপর আবার ১০ দফা দাবি তোলা হয়। তার মধ্যে ৭টি দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্যসচিব। এই আবহে আজ মুখ্যমন্ত্রী কালীঘাটের বাড়িতে মুখ্যসচিব এবং স্বাস্থ্যসচিবকে ডেকে পাঠান। সেখানেই খোঁজ নেন সবকিছুর। বিশেষ করে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, সিসিটিভি বসানো, পর্যাপ্ত শৌচালয়ের ব্যবস্থা–সহ হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে খোঁজখবর নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজে আরও গতি আনারও পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী বলে সূত্রের খবর। মুখ্য✅মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গত ১ অক্টোবর থেকে রাজ্যের প্রত্যেকটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নতুন করে রোগী কল্যাণ সমিতি গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল নবান্ন।
এছাড়া গ্রিভ্যান্স সেলও খোলা হয়েছে। এবার নিরাপত্তার হাল হকিকত সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে অডিট রিপোর্ট তলব করল রাজ্য সরকার। আর আজ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রশাসন এবং মুখ্যমন্ত্রীর এই বিষয়গুলি নিয়ে অবিলꦛম্বে হস্তক্ষেপ করা উচিত। আমাদের ১০ দফা দাবির যৌক্তিকতা মেনে নিয়ে অতি দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ করা উচিত।’ তারপরই দেখা যায় কুণাল ঘোষের সঙ্গে আন্দোলনের সমর্থক তথা সিপিএমপন্থী চিকিৎসক নেতা নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করেন।