তিনি রাস্তায় হাঁটলে মিছিলের শেষ প্রান্ত দেখা যায় না। তিনি জনসভা করলে জনসমুদ্রে পরিণত হয় গোটা বাংলা। তাঁর কথা শুনতে পাহাড় থেকে সাগর—কোটি মানুষ কান খাঁড়া করে থাকেন। কিন্তু তাঁর লেখা পড়তে কেমন আগ্রহ মানুষের? এই প্রশ্নꩵেরই উত্তর এবার মিলতে চলেছে। ২০২৫ সালে তাঁর লেখা বইয়ের সংখ্যা পৌঁছে দেড়শো। হ্যাঁ, তিনি রাজ্যের মানুষের কাছে ‘দিদি’ তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এবারের লেখা ৭টি বই একত্রে পাওয়া যাচ্ছে কলকাতা বইমেলায়। আর সেসব যেন কর্পূরের মতো উবে যাচ্ছে। বিক্রির মাত্রা এই পর্যায়েই পৌঁছেছে। গতবার অবশ্য বেস্ট সেলার হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বই। এবারও তেমনটাই দেখতে পাচ্ছে প্রকাশনা সংস্থাগুলি।
এদিকে ১৮ জানুয়ারি বইমেলার উদ্বোধনে দুটি বই প্রকাশ করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর। তার পর আর হচ্ছে প্রত্যেকদিনই। তালিকায় রয়েছে— ‘লহ প্রণাম ছড়ায় ছড়ায়’ (দ্বিতীয় ভাগ), ‘উৎসব সবার’, ‘তꩵৃণমূল স্তরে তৃণমূলের জয়’, ‘কবিতাবিতান’–এর পরিবর্ধিত সংস্করণ, এবং লহ প্রণাম ছড়ায় ছড়ায় বইটির ইংরেজি সংস্করণ ‘হাম্বল রিগার্ডস’—পাঁচটি বই বেশি বিক্রি হচ্ছে। আরও দুটি— উৎসব সবার বইটির ইংরেজি সংস্করণ ‘ফেস্টিভালস ফর অল’ এবং ‘বিল্ট হেরিটেজ অফ বেঙ্গল’ এই দুটি বই বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। প্রতিটি বইতে নিজের মতামত তুলে ধরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সঙ্গে মিশেছে বাংলার কৃষ্টি–সংস্কৃতি। যা মানুষকে আকর্ষণ করছে।
অন্যদিকে ‘লহ প্রণাম ছড়ায় ছড়ায়’ বইটি মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন শিশুদের কথা ভেবে। এটা অবশ্য দ্বিতীয় ভাগ। বইটি বাংলা এবং দেশের সমস্ত মনীষীকে 🦄সম্মান জানিয়ে তাঁদের উপর কবিতা লেখা হয়েছে। বইয়ের ভূমিকাতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘কবিতার মাধ্যমে গুণিজনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি সিরিজ লেখার প্রয়াস শুরু করেছিলাম কয়েক বছর আগে। সেই সিরিজের এটি পঞ্চম বই।’ এছাড়া আরও অনেক কথাই লেখা রয়েছে। তবে নিজের জীবনে রাজনীতির প্রবেশ এবং তার পরবর্তী কঠিন লড়াই–সংগ্রামের কথা উঠে এসেছে ‘তৃণমূল স্তরে তৃণমূলের জয়’ বইটির মধ্যে। তবে এখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিশানা বিজেপি সেটাও আছে। কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে বঞ্চনা করতে প্রাপ্য টাকা আটকে রাখার কথাও তুলে ধরেছেন।
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে জোড়া চিঠি পে🌠ল নবান্ন, এল রাষ্ট্রপতি ভবౠন–পিএমও থেকে
এই বইগুলি পাওয়া যা🐼চ্ছে দলীয় মুখপত্র ‘জাগোবাংলা’ স্টলে। দুটি আরও প্রকাশনার সংস্থার স্টলেও বইগুলি মিলবে। এবার এই স্টলকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সংবিধানের চেহারা দেওয়া হয়েছে। যা দেখতে ভিড় করছেন মানুষজন। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে সাংসদ দোলা সেন বলেন, ‘বইমেলা শুরুর দিনেই মুখ্যমন্ত্রীর লেখা সমস্ত নতুন বইয়ের খোঁজে পাঠক ভিড় করেছেন। আর রবিবার এক মুহূর্তে সব বই ফুরিয়ে গিয়েছে।’ ১৪৩টি বইয়ের সব কটি দুটি চটের ব্যাগে মিলছে। মিলছে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা গানের সিডিও। ‘মা’ সিডিটির দাম ছিল ১০০ টাকা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সেটি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পুরনো বইগুলির মধ্যে ‘উপলব্ধি’, ‘পরিবর্তন’, ‘লহ প্রণাম ছড়ায় ছড়ায়’ (প্রথম ভাগ), ‘কবিতাবিতান’, ‘আমাদের সংবিধান ও কিছু কথা’ বইগুলির বিক্রি এখনও দুরন্ত গতিতে বিক্রি হচ্ছে।’