কালীঘাটের বাড়ি থেকে নবান্নে যাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মাঝ পথ থমকে গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়। বঙ্গে যে প্রবল শীত পড়েছে। তাই শীতের সকালে ফুটপাতবাসী♍ এবং সাফাইকর্মীদের কাছে গিয়ে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। আর নেমে এলেন গাড়ি থেকে। পাশে থাকার বার্তা দিয়ে সকলের হাতে তুলে দিলেন শীতের পোশাক এবং কম্বল। আর যখন তিনি সেখান থেকে চলে গেলেন তখন যেন ঘোর কাটছে না অনেকের। ঘরের দিদিকে পাশে পেয়ে আনন্দে আটখানা সকলেই। তার উপর শীতের পোশাক থেকে কম্বল মেলায় খুশি ধরে রাখতে পারছেন না কেউ। তাই চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে গেল তাঁদের।
রাস্তার ধারে কর্মরত সাফাইকর্মীদের দিকে চোখ পড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তখনই তিনি চালককে গাড়ি থামাবার নির্দেশ দেন। তারপর গাড়ি থেকে নেমে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সাফাইকর্মী ও দরিদ্রদের হাতে শীতবস♊্ত্র তুলে দেন তিনি। আজ, বৃহস্পতিবার মোট তিন জায়গায় দরিদ্র মানুষজনের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তীর্ণের সামনে, ভবানী ভবনের সামনে এবং চিড়িয়াখানার সামনে। মমতার হাত থেকে এই শীতে বস্ত্র, কম্বল পেয়ে অনেককে বলতে শোনা গেল, ‘এটাই আমাদের দিদি। যিনি নিজে নেমে এসে মানুষের খোঁজ রাখেন।’ আর ফেসবুকে নিজেই সেই ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘মিলন–প্রভাতে দূরের মানুষ, আসিল নিকট মম।’
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী আরও বেশ কিছু কথা লিখেছেন ফেসবুক পোস্টে। তবে এই ঘটনা তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী থেকে ঘরের মেয়ে মমতা আবার প্রমাণ করল। 🦋প্রবল শীতে যখন জবুথবু বাংলা তখন স্নেহের পরশ দিয়ে পাশে দাঁড়ালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আসলে তিনি তো এই জন্যই জননেত্রী। তাই তো ফেসবুক পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘প্রতিদিনের মতো, আজও বাড়ি থেকে নবান্ন যাওয়ার পথে সাফাই কর্মীদের দেখে আমার কষ্ট হচ্ছিল। এই শীতের দিনে তাঁদের জীবনযাপন আমাকে ভাবায়, আমার হৃদয়ে বেদনার সঞ্চার করে। তাঁরা আমার এই শহর তথা রাজ্যকে পরিষ্কার রাখে। তাই আজ, নবান্ন যাওয়ার সময় সেই সকল মানুষের হাতে তুলে দিলাম কম্বল।’
আরও পড়ুন: রামমন্দির উদ্ধোধনের দিন খোলা থাক༺বে মদের দোকান, বন্ধের আবেদন খারিজ ক🍬লকাতা হাইকোর্টে
অন্যদিকে জানুয়ারি মাসে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। আজ, বৃহস্পতিবার জবুথবুই ছিল কল্লোলিনী কলকাতা। হালকা বৃষ্টিতে আরও স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থা হয়েছিল। সেই আবহেই ফুটপাথবাসী এবং সাফাইকর্মীদের হাতে কম্বল তুলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরু পাড়ের সাদা শাড়ির উপর হালকা সোয়েটার ও তার উপর শাল 🅘জড়ানো ছিল গায়ে। ওভাবেই চলে এলেন মানুষের মাঝে। সেখানে কম্বল দিয়ে কথ🎶া বলে নিজের অনুভূতি শেয়ার করলেন ফেসবুকে। তিনি রবীন্দ্রনাথের লেখা দুই লাইন লেখেন, ‘মিলন–প্রভাতে দূরের মানুষ আসিল নিকটে মম। আমার নিজের সাধ্যমত সর্বদা সকল মানুষের পাশে থাকতে আমি বদ্ধপরিকর। আমার রাজ্যের যে কোনও প্রান্তে কোনও একজন মানুষও যদি দুঃখে–কষ্টে থাকে, তাহলে তা আমার কাছে সমান বেদনাদায়ক। জনসেবা করার জন্যই নিজের গোটা জীবনকে সঁপে দিয়েছি গণদেবতার স্বার্থে। তাঁরা ভাল থাকলেই আমার ভাল থাকা। আপনারা সকলে ভাল থাকুন এবং সুস্থ থাকুন।’