আরজি কর-কাণ্ডের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট স্থাপনের আর্জি জানিয়েছিলে꧑ন। তবে কেন্দ্র পাল্টা চিঠি দিয়ে অভিযোগ তুলেছিল, এমন কোর্ট তৈরির বিষয়ে রাজ্য সরকার সহযোগিতা করেনি। সেই অভিযোগ খারিজ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছিলেন রাজ্যে অনেকগুলি এই ধরনের আদালত তৈরি করা হয়েছে। গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায🍬় বলেছিলেন রাজ্যে ৮৮ ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট এবং ৬২টি পকসো আদালত রয়েছে। এবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরও ৫ টি পকসো বিশেষ আদালত গঠনের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: ফাস্ট ট্র✱্যাক কোর্টে সব মিলিয়ে জমে আছে দুই লক্ষেরও বেশি মামলা-রিপোর্ট
মঙ্গলবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রীদের পাশাপাশি রাজ্য সচিবালয়ের নবান্নের আধিকারিকরা। যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা (পকসো) আইনের অধীনে দায়ের করা মামলাগুলির দ্রুত বিচারের জন্য আরও পাঁচটি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত তৈরির সিদ্ধ🧸ান্ত ন🌺েওয়া হয়। এর আগে নারীদের সুরক্ষায় অপরাজিতা বিল পাশ করেছে রাজ্য সরকার। সেই বিল নিয়ে আলোচনার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় বলেছিলেন যে বাংলায় বর্তমানে ৮৮টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট এবং ৬২টি পকসো আদালত রয়েছে।
জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলেছিলেন যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনার প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তাররা যে বিক্ষোভ করছেন তা নিয়ে কোনও মন্ত্রীর জনসমক্ষে কোনও মন্তব্য করা উ﷽চিত নয়। অন্যদিকে, বিধানসভায় পাশ করা নতুন বিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাষ্ট্রপতির কাছে সম্মতির জন্য পাঠিয়েছেন। প্রসঙ্গত, বিজ🐓েপি নেতা অমিত মালব্য অভিযোগ তুলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ধর্ষণের সমাধানের জন্য, এমনকী একটি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টও স্থাপন করেনি। যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা (পকসো) আইনে দ্রুত বিচারের জন্য বিশেষ আদালত ও ফাস্ট ট্র্যাক আদালত চালু করার প্রকল্প শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে। যাতে কেন্দ্র ৬০ শতাংশ এবং রাজ্য ৪০ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ করে থাকে।
অমিত অভিযোগ করেছিলেন, ৩০ জুন পর্যন্ত সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৪০৯ টি পকসো আদালত এবং ৭৫২ টি ফাস্ট ট্রাক আদালত গঠন করা হয়েছে। সেগুলি খুব ভালജোভাবে কাজ করছে। এখনও পর্যন্ত এই সমস্ত আদালতগুলিতে আড়াই লক্ষের বেশি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে বাংলাকে মোট ১২৪টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট বরাদ্দ করা হয়েছিল, যার মধ্যে ২০টি পকসো আদালত এবং ১০৪টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট রয়েছে। তবে রাজ্য সরকার তাতে আগ্রহ দেখায়নি।