ছোটখাটো বা গুরু♓তর অপরাধের ক্ষেত্রে শিশুদের বিচারব্যবস্থার সম্মুখীন হওয়া কি এড়ানো যেতে পারে? কারণ একাধিক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে শিশুরা অপরাধ করার পর বিচারব্যবস্থার মুখোমুখি হলে, তারা এক মানসিক ট্রমার মধ্যে পড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেই ট্রমা থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন হয়ে পড়ে। জুভেনাইল জাস♎্টিস আইনের ৩ (১৫) ধারা প্রয়োগ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব। অপরাধে যুক্ত শিশুদের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে ইউনিসেফের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সামিল হচ্ছে রাজ্য সরকার।
রবিবার এই বিষয় নিয়ে একটি আলোচনা সভায় আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু উন্নয়ন ও সমাজ কল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান সুদেষ্ণা রায় ও ইউনিসেফের পশ্চিমবঙ্গ শ♋াখার প্রধান মহম্মদ মহিউদ্দিন।
২০১৫ সালের জুভেনাইল জাস্টিস আইন প্রয়োগ করেই শিশুকে ছোটখাট অপরাধের ক্ষেত্রে নিয়মিত বিচার প্রক্রিয়ার থেকে সরিয়ে রাখা স𒅌ম্ভব। শিশুটিকে তারা বাবা-মার কাছে রেখে সমাজকর্মীদের সহায়তায় আবার তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে। মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন,'ছোট ও গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে শিশুদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা যায় না। তাদের হোমে না পাঠিয়ে বরং বাড়িতে রেখে বিভিন্ন সমাজ কল্যাণমূলক কাজে যুক্ত করা যেতে পারে।' এ নিয়ে পুলিশ ও সরকারি আধিকারিকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
মন্ত্রী বলেন, 'ছোটখাটো অপরাধের ক্ষেত্রে শিশুদের বিচারব্যবস্থার সামনে আনাᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ হলে, সেই নাবালক অপরাধীর মানসিক ট্রমা তৈরি হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাকে সংশোধনের সুযোগ চলে যায়। ফলে তারা আবার একই অপরাধে যুক্ত হয়।'
বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের বিচা⭕রকদের অনুরোধ করেন, শিশুদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলিকে সহানুভূতি ও সংবেদনশীলতার চোখে দেখতে।
ইতিমধ্যেই ইউনিসেফ এবং রাজ্য সরকার যৌথ উদ্যোগে, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহায়তায়, জলপাইগুড়ি, ম🍷ুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কিছু অপরাধপ্রবণ এলাকায় পাইলট প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে।
ইউনিসেফের পশ্চিমবঙ্গ শাখার প্রধান মহম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, 'অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে, এই ধরনের শিশুদের ক্ষেত্ꦬরে নিয়মিত ও ধারাবাহিক পরিচর্যার প্রয়োজন।' ছোটখাটো অপরাধের 🅘ক্ষেত্রে শিশুদের বিচারব্যবস্থার থেকে দূরে রাখার পক্ষে মন্ত্রীর সঙ্গে সহমত পোষণ করেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপর্সন সুদেষ্ণা রায়।