১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা থেকে শুরু করে একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে তরজা অব্যাহত রয়েছে। এই সমস্ত বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বারবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে রাজ্য সরকার। লোকসভা নির্বাচনের আগে বকেয়া আদায়ের জন্য আরও জোরালো দাবি তুলেছে রাজ্য সরকার। এবার এরমধ্যেই যক্ষ্মা নির্মূলে ক্ষেত্রেও কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ উঠল। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের তরফে বাংলায় যক্ষ𒁏্মা নির্মূলের জন্য কোনও টিকা বরাদ্দ হয়নি বলেই অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুন: যক্ষ্মা রোগীদের চিকিৎসা💎য় উৎসাহিত করতে আশা কর্ম🌱ীদের ভাতা দেবে রাজ্য
কেন্দ্র সরকারের তরফে স্বাস্থ্য মন্ত্রক ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতকে যক্ষ্মা নির্মূল করার কর্মসূচি নিয়েছে। এই কর🐲্মসূচিতে বয়স্ক এবং কো-মর্বিডিটিদের বিসিজি অ্যাডাল্ট রি-ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি শুরু করেছে কেন্দ্র। তবে অভিযোগ উঠেছে, সমস্ত রাজ্যে এই টিকা পাঠানোর কাজ শুরু হ♐লেও বাংলায় এই টিকা এখনও বরাদ্দ হয়নি। এই অভিযোগকে ঘিরে নতুন মাত্রা পেয়েছে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ। জানা গিয়েছে, জাতীয় যক্ষ্মা নির্মূল কর্মসূচির আওতায় পশ্চিমবঙ্গেকে আনার জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। সেক্ষেত্রে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, একটি এরকম হলে সে ক্ষেত্রে একটি যক্ষ্মা নির্মূল অভিযান থেকে বঞ্চিত হবে বাংলা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী জুন মাস থেকে এই কর্মসূচি শুরু হতে চলেছে গোটা দেশে।
উল্লেখ্য, পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কলকাতায় টিবি আক্রান্তের সংখ্যা ১২, ৮২৯ জন। এছাড়া, মৃত্যু হয়েছে ২৭২ জন♏ের। কলকাতার পরেই রয়েছে মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর ২৪ পরগনা স্থান। এই দুই জেলাতেও টিবি আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। আবার গোটা দেশের নিরিখে প্রতিবছর ৫০ হাজার মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে যদিও মোট আক্রান্তের গড়ে ৫ শতাংশ সুস্থ হন। তবে বিগত বছরে ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে নথিভুক্ত যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা প্রায় দেড় লক্ষ। আবার অনেক রোগী মাঝপথে চিকিৎসা বন্ধ করে দিচ্ছেন। এরকম আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩ শতাংশ। তাদের বিভিন্ন সূত্র ধরে খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি।