বাংলার বাইরে দুর্গাপুজোর অনুমতি নিয়ে সমস্যা দেখা গিয়েছে আগেই। বিতর্কও হয়েছে। এবার এই নিয়ে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারকে ফের নিশানা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবাꩲর নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশে তো দুর্গাপুজোয় কোনও অনুমতিই দেওয়া হয়নি। দিল্লিতে মাত্র একটা পুজো অনুমতি পেয়েছে। তা হল চিত্তরঞ্জন পার্কের পুজো। সারা ভারতবর্ষের কোথাও দুর্গাপুজো করার অনুমতি নেই। কিন্তু আমাদের বাংলায় লক্ষ লক্ষ দুর্গাপুজো হয়। আমরা কিন্তু কোথাও বন্ধ করিনি। আমরা তা করবও না। আমরা শুধু এটুকু বলব যে প্রটোকল মেনে চলুন, যাতে করোনা আর না ছড়ায় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।’
এদিন ফের করোনা সংক্রমণ রুখতে সাধারণ মানুষকে নিয়ম মেনে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক পরার আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এদিন রাজ্যবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘আগামী সোমবার তৃতীয়া থেকে ♕পুজো শুরু হয়ে যাচ্ছে। সবাই ভাল ভাবে পুজো কাটান। কিন্তু একটাই অনুরোধ, প্রত্যেকে মাস্ক পরুন। কারণ, এখন সংক্রমণ আগে থেকে বাড়ছে। গোষ্ঠী সংক্রমণও হচ্ছে। কেউ স্বীকার করুক বা না করুক, বাতাসেও ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস।’
পুজোর প্রসঙ্গে টেনে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাইরে যাতায়াত আগে থেকে বেশি বে♔ড়ে গিয়েছে। লোকজন পুজোর সময় একটু কেনাকাটা করে। সবাইকে বলব একে–অপরের থেকে একটু দূরত্ব বজায় রাখুন। মাস্ক অবশ্যই পরুন। তা হলে রোগ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পুজো কমিটিগুলির কাছে আমার আবেদন, মণ্ডপ চত্বরে মাইকে প্রচার করুন। মাইকিং করে দূরত্ব বজায় রাখা বা অযথা ভিড় না বাড়ানোর কথা বলা যেতে পারে। আর মণ্ডপে অবশ্যই মাস্ক পরে ঢুকতে হবে। ভলান্টিয়ারদের কাছে আমার অনুরোধ, যাঁরা মাস্ক পরবে না তাঁদের মণ্ডপে ঢোকার অনুমতি দেওয়া যাবে না। যদি সম্ভব হয় তাঁদের মাস্ক দিন। স্যানিটাইজ করিয়ে দিন।’
পুজোর উদ্বোধন নি♎য়ে পুজো কর্তাদের এদিন বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আর্জি, এ বছর করোনা পরিস্থি♏তিতে ভিআইপি–দের দিয়ে পুজোর উদ্বোধন না করানোই ভাল হবে। তাতে ভিড় এড়ানো যাবে। এ বছর নিজেরাই উদ্বোধন করুন পুজোর।’