আগামী ২৭ মে নয়াদিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন এই মুহূর্তে এমন খবরই মিলেছে। গতকাল নয়াদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তাঁকে সমর্থন করার কথাও ঘোষণা করেন। আর আজ, বুধবার নবান্ন থেকে জানা যাচ্ছে নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যোগ দেবেন না। আর এটা যদি সত্যি হয় তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বড় সংঘাতের পথ প্রশস্🍸ত হবে ব💧লে মনে করা হচ্ছে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করার পর এমন সিদ্ধান্ত সত্যিই তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিকে আগামী ২৬ মে অর্থাৎ একদিন আগেই নয়াদিল্লি যাওয়ার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পরেরদিন ২৭ মে দেশের অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একসঙ্গে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা ছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু মাসের শেষের এই বৈঠকে তিনি উপস্থিত থাকছেন না বলে সূত্রের খবর। আর তিনি যদি না যান তাহলে নীতি আয়োগের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখোমুখি হতে হবে না। ইতিমধ্যেই নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান বয়কট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই পথে হাঁটতে পারে বাক൲ি𒆙 বিরোধী দলও।
অন্যদিকে এই সংসদ ভবনের অনুষ্ঠান বয়কট করার সিদ্ধান্ত টুইট করে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি টুইট করে জানিয়ে দেন, রবিবারের অনুষ্ঠানে তৃণমূল কংগ্রেস উপস্থিত থাকবেন না। এই টুইট প্রকাশ্যে আসার পরই মুখ্যমন্ত্রীর নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ না দেওয়ার ক🐠থা সামনে চলে আসে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এখন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সব বিরোধীরা✅ই এককাট্টা হচ্ছেন। সেখানে এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে যোগ না দেওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? বাংলার মুখ্যম🧸ন্ত্রী গত কয়েক মাসে বৈঠক করেছেন কুমারস্বামী, অখিলেশ যাদব, নীতীশ কুমার, নবীন পট্টনায়েক এবং অরবিন্দ কেজরি♚ওয়ালের সঙ্গে। সেখানে ছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীও। তারপরই নীতি আয়োগের বৈঠকে যাচ্ছেন না বলে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। এমনকী ১৯টি বিরোধী দলই জানিয়ে দিয়েছে, রবিবারের নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনে তাঁরা উপস্থিত থাকবেন না। সুতরাং শুরুতেই বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। তার মধ্যেই নীতি আয়োগের বৈঠকেও যাচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর সংঘাত কোন পর্যায়ে পৌঁছয় এখন সেটাই দেখার বিষয়।