দার্জিলিং মেল। উত্তরবঙ্গ সফরের জন্য অনেকের কাছেই প্রিয় ট্রেন এটি। শিয়ালদা থেকে এনজেপি হয়ে হলদিবাড়ি পর্যন্ত এই ট্রেনে যাতায়াত করেন অনেকেই। তবে এবার কিছুটা অন্য় রুটে যাতায়াত করতে পারে এই দার্জিলিং মেল। তবে সেটা এখনই নয়। আগামী মার্চ মাস থেকে দার্জিলিং মেꦦল এই নয়া রুটে যাতায়াত করতꦗে পারে বলে খবর। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এনিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। তবে ৮ ডিসেম্বর রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে নতুন রুটে দার্জিলিং মেল যেতে পারে বলে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল সেটা ভুয়ো।
এই দার্জিলিং মেলের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে প্রায় ১৪৫ বছরের প্রাচীন ইতিহাস। আর এবার সেই ট্রেনের রুট পরিবর্তন হলে কতটা সুবিধা হতে পারে তা নিয়েও নানা চর্চা হ🐼চ্ছিল।দাবি করা হয়েছিল, এই নয়া রুটে দার্জিলিং মেল গেলে গোটা ﷽রুটে অন্তত ৯০ মিনিট সময় কমতে পারে।
তবে পূর্ব রেলের মুখ্যজনসংযোগ আধিকারিক ꩵজানিয়েছেন, ১৪৩৪৩ দার্জিলিং মেল স্থায়ীভাবে শিয়ালদা, রানাঘাট, বহরমপুর কোর্ট, আজিমগঞ্জ 🔥হয়ে যাওয়ার খবর যেটা বলা হচ্ছে তা ঠিক নয়।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্য়মে খবর প্রকাশিত হয়েছিল দার্জিলিং মেল যেতে পারে যে নয়া রুটে সেটি হল রানাঘাট জংশন হয়ে মালদা ভায়া বহরমপুর কোর্ট, আজিমগঞ্🅘জ জংশন ছুঁয়ে যাবে এই দার্জিলিং মেল। কিষানগঞ্জ হয়ে এনজেপি যাবে ট্রেনটি। বলা হচ্ছে এই রুটে যাতায়াতের মোট সময় অনেকটাই কমবে। তবে বর্তমানে বর্ধমান-বোলপুরের রাস্তা ধরে এই ট্রেনটি যায়। নিউ জলপাইগুড়ির পর থেকে এই ট্রেন জলপাইগুড়ি হয়ে হলদিবাড়ির দিকে যাবে।
ইতিহাস বলছ🍨ে ১৮৭৮ সালের ১ জানুয়ারি এই দার্জিলিং মেল চালু হয়েছিল। সেই সময় শিয়ালদা, রানাঘাট, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ হিলি পার্বতীপুর, নীলফামারি, হয়ে হলদিবাড়ি হয়ে এটা জলপাইগুড়িতে যেত। তবে বর্তমানে ওই রুটের কিছু এলাকা বাংলাদেশের মধ্য়ে চলে গিয়েছে। প🍃রে ১৯৬৫ সালে এই রুটের বদল ঘটে। বর্ধমান, মালদা, কিষানগঞ্জ হয়ে এনজেপি যায় ট্রেনটি। পরে যাত্রীদের চাপে ২০২২ সালের ১৫ অগস্ট ট্রেনটির যাত্রা হলদাবাড়ি পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হয়।
এই নয়া রুটে মুর্শি🌌দাবাদের বাসিন্দাদের খুব সুবিধা হবে বলেও দাবি করা হচ্ছিল। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এটা তেমন কিছু হচ্ছে না।