পারিবারিক অশান্তিতে দুই জায়ের তুমুল ধাক্কাধাক্কি হল। এমনকী তার জেরে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। ছোটো জায়ের মারধরে বড় জায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই মারামারির উৎস ছিল, সন্তানের অসুস্থতাকে কেন্দ্র করে। তার জেরে চলে তুমুল তর্কাতর্কি। আর সেখান থেকেই হাতাহাতিতে গড়ায়। অভিযোগ, বাড়ির ছোট জা বড় জাকে বিছানায় ফেলে ব্যাপক মারধর করেন। তাতেই অসুসꦚ্থ হয়ে পড়েন মহিলা এবং তাঁর মৃত্যু হয়। পাটুলি থানা এলাকার গাঙ্গুলিবাগানের ওই ঘটনায় পুলিশ অনিচ্ছাকৃত মৃত্যুর অভিযোগে বাড়ির ছোট জাকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গাঙ্গুলিবাগানে দুই ভাই ও তাঁদের সন্তানেরা এক পরিবারে থাকেন। বড় জা ফাল্গুনী বসু (৪৮) পরিবারের সব কাজ দেখাশোনা করতেন। সোমবার ফাল্গুনীদেবী তাঁর ছোট🥃 জায়ের সাত বছরের ছেলেকে বিরিয়ানি খাওয়াচ্ছিলেন। বিরিয়ানি খেতে খেতে হঠাৎই গলায় খাবার আটকে বমি হয়ে যায় শিশুটির। তখন ছেলে কেন বমি করেছে তার কারণ জানতে মা শর্মিষ্ঠা বসু বড় জা ফাল্গুনী বসুর সঙ্গে ঝগড়া জুড়ে দেন। এমনকী শর্মিষ্ঠা বড় জা ফাল্গুনী দেবীকে বিছানায় ফেলে মারধর করেন। তখন অসুস্থ হয়ে পড়েন ফাল্গুনীদেবী। তাঁকে বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
ফাল𓆏্গুন𝓰ীদেবীর স্বামী রাজ্য কৃষি বিপণন দফতরের পদস্থ আধিকারিক অরিন্দম বসু পাটুলি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করে। ধৃতের স্বামী শিল্পতালুক সেক্টর ফাইভে একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী।
এই বিষয়ে মনোবিদ নীলাঞ্জনা সান্যাল বলেন, ‘উত্তেজনার মুহꦓূর্তে এই কাণ্ড ঘটে গিয়েছে। ঝোঁকের মাথায় যুক্তিপূর্ণ মন তাৎক্ষণিকভাবে হারিয়ে যাওয়াতেই এই ঘটনা ঘটে। মেরে ফেলার উদ্দেশꦦ্যে ওই মহিলা আঘাত করতে যাননি।’