খুব সম্ভবত আজই (রবিবার - ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন ট্যাংরা কাণ্ডে অন্যতম সন্দেহভাজন প্রসূন দে। ওই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে তাঁর ভাইপো নাবালক প্রতীপ দে-কেও। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে - এদিনই এই দু'জনকে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতাল থেকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা 🐻হতে পারে।
উল্লেখ্য, এর আগে শনিবারই (২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) এই ঘটনা🐬য় আরও এক সন্দেহভাজন প্রণয় দে-কেও বেসরকারি হাসপাতাল꧒ থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি কলকাতারই এনআরএস (সরকারি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ট্যাংরার ঘটনায় দে বাড়ির দুই কর্তা - বড় ভাই প্রণয় দে এবং ছোট ভাই প্রসূন দে যেসমস্ত দাবি করেছেন, তার মধ্যে বিস্তর অসঙ্গতি রয়েছে। 𒁃তাঁদের দাবি, আর্থিক অনটনের কারণে সারাপরিবারই নাকি গণ-আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আর সেই কারণেই নাকি পায়েসে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে, সেই পায়েস পরিবারের সব সদস্য খেয়েছিলেন।
কিন্তু, এই দাবি আদৌ কতটা সত্যি, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে পুলিশের। কারণ, ꦇপরিবারের দুই বধূ সুদেষ্ণা দে ও রো💖মি দে এবং প্রসূনের নাবালিকা মেয়ে প্রিয়ম্বদাকে খুন করা হয়েছে বলেই তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান। নিহত তিনজনের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টও তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে আরও মনে করা হচ্꧅ছে, পায়েসে ঘুমের ওষুধ যদি মিশিয়ে দেওয়া হয়, (আরও একটি সূত্রের দাবি, পায়েসে বিষও মেশানো হয়ে থাকতে পারে। কারণ - নাবালিকার দেহ যখন উদ্ধার হয়, তার মুখ থেকে তখনও গ্যাঁজলা বেরোনোর প্রমাণ স্পষ্ট ছিল) তাহলে সেই ওষুধেই বাড়ির নাবালিকা সদস্যের মৃত্যু হয়েছিল।
দুই বধূ তখনও জীবিত ছিলেন। কিন্তু তাঁরা অজ্ঞান অব💛স্থায় ছিলেন। 📖মনে করা হচ্ছে, সেই সময়েই তাঁদের হাতের শিরা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। এমনকী, একজনের গলার নলিও কেটে ফেলা হয়! যা অত্যন্ত নৃশংস অপরাধ মনস্কতা ও ঠান্ডা মাথায় খুনের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।
এত কিছু ঘটে যাওয়ার পরও প্রণয় ও প্রসূনের দাবি অনুসারে, 🐻তাঁরা প্রতীমকে সঙ্গে নিয়ে গাড়ি করে বেরিয়ে পড়েন আত্মহত্যা করতে! এই দাবি কতটা সত্যি, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেটা হল - আদৌ ক🌳ি তাঁরা আত্মহত্যা করতে বেরিয়েছিলেন? নাকি খুন করে পালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন?
এই সমস্ত প💝্রশ্নের উত্তর পেতেই যত দ্রুত সম্ভব প্রণয় ও প্রসূনকে জেরা করতে চাইছে পুলিশ। চিকিৎসকদের কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত পেলেই এই দুই ভাইকে গ্রেফতার করে এবং হেফাজতে নিয়ে সেই কাজ সারা হবে।