শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি এখন 'পুরনো ইস্যু'। বাংলার রাজনীতিতে এখন নতুন করে ঝড় তুলেছে পুরসভাগুলিতে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির বিষয়টি। আর এবার এই সংক্রান্ত অভিযোগ জানিয়ে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীকে চিঠি লিখেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। এর আগে মিড ডে মিল ও আবাস যোজনার কাজ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এই আবহে পুর নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়টি খতিয়ে দেখতেও কেন্দ্রের তরফে কোনও দল পাঠানো হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এদিকে পুর নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যু নিয়ে অবশ্য রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম খুব একটা 'চিন্তিত' নন। তাঁর দাবি, কাজ হচ্ছে স্বচ্ছতার সঙ্গেই। (আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে মহার্ঘ ভাতার মামলা পিছিয়ে গিয়ে শাপে বর হ𓃲য়েছে ডিএ আন্দোলনকারীদের)
এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে লেখা চিঠি প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, 'নগরোন্নয়ন মন্ত্রক দেশের পুরসভাগুলিকে টাকা দেয়। এ রাজ্যের পুরসভাগুলিও টাকা পায় কেন্দ্র থেকে। তাই এ ব্যাপারে কেন্দ্রের অবগত থাকা উচিত বলে মনে করি আমি। ৬০ টি পুরসভায় নিয়োগ হয়েছে। তৃণমূলের নেতাদের টাকা না দিয়ে কেউ চাকরি পায়নি, একজনও নয়। এ ব্যাপারে তদন্ত হওয়া উচিত। তদন্তের টিম পাঠানোর অনুরোধ জানাচ্ছি কেন্দ্রের কাছে।' এদিকে এই প্রসঙ্গে পুর মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল তদন্ত করতে এলে আসবে। কোনও আপত্তি নেই। এরাজ্যে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা আসেন, সচিবও আসেন। আমার কিছু লুকনোর নেই। স্বচ্ছতার সঙ্গে চালাচ্ছিꦐ, স্বচ্ছতার সঙ্গেই চালাব।'
আরও পড়ুন: DA ধর্মঘটে যোগ দেওয়ায় কড়া পদক্ষেপ কয়েকশো শিক্ষকের বিরুদ🌼্𒆙ধে, কর্মজীবনে পড়বে দাগ
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের কাছ থেকে পুর নিয়োগ সংক্রান্ত বহু নথি পয়েছে ইডি। এই আবহে আদালতে ইডির তরফে জানানো হয়📖েছে, অয়নের সংস্থা এবিএস ইনফোজোন-এর মাধ্যমে রাজ্যের ৬০টিরও বেশি পুরসভায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আর সেই সবকটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রায় ৫,০০০ প্রার্থীর চাকরি নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের। কামারহাটি, পানিহাটি, উত্তর ও দক্ষিণ দমদম, হালিশর, ডায়মন্ড হারবার সহ একাধিক পুরসভার নাম জড়িয়েছে এই দুর্নীতিতে।